সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন কোচ সালাউদ্দিন/ সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দেশি ক্রিকেটারদের পারফর্ম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন কুমিল্লার কোচ সালাউদ্দিন। তার মতে, ক্রিকেটারদের বেশিরভাগই ‘মাথা’ ছাড়া খেলে। তাদের আসলে কমনসেন্স আছে কি না, এটা নিয়ে সন্দেহ।

শনিবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লোকাল খেলোয়াড়দের নিয়ে নিজের হতাশার কথা জানান সালাউদ্দিন।

বিপিএলের আজকের ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা। এ ম্যাচেও ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন দলটির বিদেশি ক্রিকেটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু ব্যাট হাতে রান পাননি কুমিল্লার টপঅর্ডারে খেলা দেশি ক্রিকেটাররা।

দেশীয় ক্রিকেটারদের কাছে কী ধরনের প্রত্যাশা থাকে- এই প্রশ্নের জবাবে সালাউদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয় খেলোয়াড়দের কাছে আমি সামান্য কমনসেন্স চাই। কিন্তু তাদের আসলে কমনসেন্স আছে কি না, এটা নিয়েও আমার সন্দেহ। আপনি যদি ১৫ বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট মিরপুরে খেলেন, আপনি জানেন এখানে আপনার কী করতে হবে। সেই কমনসেন্স যদি আপনার না থাকে, তাহলে আসলে আমি হতাশ হওয়া ছাড়া উপায় কী। বিশেষ করে আমাদের ছেলেরা ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করে কি না সেটা নিয়েও আমার সন্দেহ।’

আরও পড়ুন : উচ্চশিক্ষা নিতে ‘প্রফেসর’ ভর্তি হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে

সালাউদ্দিন যোগ করেন, ‘রিজওয়ানের সঙ্গে আমাদের দেশের অনেক ওপেনার বা অলরাউন্ডার খেলেন, কিন্তু তাদের শটের সীমাবদ্ধতা অনেক বেশি। তারা হয়তো সবদিকে মারতে পারে, কিন্তু খেলতে গেলে দেখা যায় উল্টো হচ্ছে। আমাদের দেশে অনেকে হয়তো মাথা দিয়ে খেলে, অনেকে খেলে না। বেশিরভাগই মাথা ছাড়া খেলে। যেদিন প্রশ্ন কমন পড়ে যায়, সেদিন ভালো খেলে, যেদিন পড়ে না সেদিন ভালো খেলে না। খুবই হতাশাজনক। আপনি যখন ১০/১২ বছর ক্রিকেট খেলছেন তখন সামান্য কমনসেন্স থাকা উচিত কখন কী করতে হবে।’

এ সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শেখার বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সালাউদ্দিন, ‘আমার মনে হয় তাদের ক্রিকেট জ্ঞান অনেক কম। এই উইকেটে আমার কী করতে হবে বা কোন বোলারকে আমি কখন চার্জ করব, এটা সামান্য জিনিস। যখন সবকিছু আমার নিয়ন্ত্রণে আছে তখন নিয়ন্ত্রণ ছাড়ব কেন? এ বুদ্ধি যদি কারো না হয়, তাহলে তারা ক্রিকেট কবে শিখবে উপরওয়ালা জানে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনার যদি গ্রামার ছোটবেলা থেকে খারাপ থাকে তাহলে তো আপনি ইংরেজি রচনা পড়তে পারবেন না। আমরা আসলে ছোটবেলা থেকে তাদের ওভাবে গড়ে তুলছি। আমরা সবসময়ই কোচ-নির্ভর খেলোয়াড়। প্রকৃতপক্ষে ভেতরে গিয়ে তো কোচ খেলবে না, তখনই মাথাটা কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সিস্টেমেই গলদ। কম্পিউটারে আসলে সেটআপটা ঠিক মতো হয়নি।’

এসএইচ/এএইচএস/জেএস