দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে ফিরে প্রথম দিনটা হোম অব ক্রিকেট খ্যাত শেরে-ই বাংলায় কাটিয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবার সংবাদ সম্মেলনে এলেন আজ। দুপুর আড়াইটা নাগাদ প্রেস কনফারেন্স রুমে প্রবেশ করেন টিম টাইগার্সের নতুন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

হাথুরুর সংবাদ সম্মেলন নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে ছিল গণমাধ্যমকর্মীদের। লঙ্কান এই কোচও একে একে দিয়ে গেলেন সব প্রশ্নের উত্তর। বাংলাদেশে আবারও ফেরা, আসন্ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থেকে শুরু করে উঠে এলো অনেক প্রসঙ্গই।

আসন্ন হাই-ভোল্টেজ সিরিজে ভালো পরীক্ষায় পড়তে হবে হাথুরুকে। সিনিয়ররা ছাড়া বাকিদের সম্পর্কে তেমন স্বচ্ছ ধারণা নেই। লঙ্কান এই কোচ বলেন, 'আমি তাদের কাউকেই দেখি নাই। আমি যেটা করব, আমি দলটাকে পর্যবেক্ষণ করব। আমরা কীভাবে খেলব, সেটা ঠিক করব। তারা শেষ কিছু দিনে বেশ ভালো খেলেছে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে।'

সবশেষ ভারত সিরিজের মতো ইংল্যান্ড সিরিজেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখার লক্ষ্য হাথুরুসিংহের। তার ভাষ্য, 'আমরা একই কাজ করার চেষ্টা করব। প্রক্রিয়াটা কী সেটার দেখার চেষ্টা করব।'

এছাড়া কোচিং স্টাফ ও অধিনায়কের ওপর ভরসা রাখতে চান হাথুরুসিংহে, 'দলের নেতৃত্ব ও অন্য কোচিং স্টাফদের ওপর নির্ভর করব। তথ্য পাওয়ার ব্যাপারে প্রথম দুই ম্যাচে এভাবেই এগোবো। তারপর দেখা যাক কী হয়।'

বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেলেও সবসময় অনুসরণ করতেন বলে জানালেন হাথুরু। তিনি বলেন, 'চলে যাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনুসরণ করছি। সময়ে সময়ে খেলোয়াড় ও কমকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগও ছিল। বাংলাদেশের জন্য আমার সবসময়ই সফট কর্নার ছিল। কারণ এটা আমার প্রথম আন্তর্জাতিক অ্যাসাইনমেন্ট ছিল। ফিরে আসার তাড়না সবসময়ই ছিল।’

তবে লঙ্কান এই কোচ ভাবেননি এতো দ্রুত ফিরবেন। তিনি বলেন, ‘যদিও ভাবিনি এত তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় যখন সভাপতি ও কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা হলো, কিছু ব্যাপারে কথা হয়েছে। এরপর আমার মনে হয়েছে এটাই সঠিক সময় ফিরে আসার। সামনে ২০২৩ বিশ্বকাপ আছে, আমার নিউ সাউথ ওয়েলস সিজনটা একটু দেরি ছিল। আমার মনে হয়েছে এটাই সঠিক সময় ফিরে আসার।’

এসএইচ/এফআই