ক্রিকেট নৈপুণ্য দেখিয়েই একসময় আলোচনায় থাকতেন পাকিস্তানের গতি তারকা শোয়েব আখতার। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিভিন্ন খেলোয়াড়দের সমালোচনা নিয়েই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। পাকিস্তানের বর্তমান অধিনায়কের ওপর তো একপ্রকার ক্ষোভই দেখিয়েছেন শোয়েব। ইংরেজি উচ্চারণের বিষয়টিকে তিনি ‘বাবর কথা বলতে পারে না’ বলে উল্লেখ করেন। শুধু তাই নয়, গত টি-২০ বিশ্বকাপে শাহিন আফ্রিদির চোটে পড়ার পর মাঠ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টিকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।

কিন্তু এখানেই শেষ নয়, শোয়েব আখতারের একের এক সমালোচনা নিয়ে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও সমর্থকরা। ক্রিকেটাররা স্বাভাবিক জবাব দিলেও সমর্থকরা শোয়েবকে একেবারে তুলোধুনো করেই ছাড়ছেন।

দেশটির এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শোয়েব আখতার বলেন, ‘খোলাখুলিভাবে বাবরের কথা বলব আমি, পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড হওয়া উচিত ওর। কিন্তু সেটা হতে পারছে না? কারণ, সে কথা বলতে পারে না।’

কথা বলতে না জানা মানে গণমাধ্যমে ইংরেজি ভাষায় সাবলীলতা বুঝিয়েছেন শোয়েব। তবে শোয়েবের মন্তব্যটি বাবরের জন্য অসম্মানজনক বলে মনে করেছেন অনেকে। যার জবাবও দিয়েছেন দলটির সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার কামরান আকমল। তিনি আরেকটি গণমাধ্যমের টকশো’তে বলেন, ‘শোয়েব আখতার ইদানিং স্ক্রিনের (পর্দা) সামনে আসেন না। এ কারণে বাবরকে নিয়ে মন্তব্য করে শিরোনামে আসতে চেয়েছেন। বাবর আজম আমাদের সুপারস্টার, বিশ্বের নম্বর ওয়ান। মিডিয়া সামাল দেওয়ার বিষয়টিতে সে দিন দিন উন্নতি করছে।’

আকমলের কথার জবাব দিতেও দেরি করেননি শোয়েব। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলছেন, ‘গতকাল আমি কামরান আকমলের কথা শুনছিলাম। সে ‘স্ক্রিন’ শব্দটিকে ‘এসক্রিন’ বলে উচ্চারণ করছিল। তুমি একটি মিডিয়ায় কথা বলছ, কী উচ্চারণ করছ খেয়াল করা দরকার।’

অন্যদিকে, গত সপ্তাহে বিশ্বকাপ ফাইনাল থেকে শাহিনের মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সমালোচনা করে শোয়েব বলেন, ‘আমি শাহিনের জায়গায় থাকলে ওই ১২টি বল করে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় তারকা হয়ে যেতাম। আমি বোলিং করতাম। হাঁটু ভেঙে পড়ে গেলেও উঠে দাঁড়াতাম। বারবার ইনজেকশন নিয়ে হলেও খেলা চালিয়ে যেতাম।’

শাহিন বর্তমানে পাকিস্তানের এক নম্বর ফাস্ট বোলার। যদিও তিনি শোয়েবের কথার পিঠে এখনও কিছু বলেননি। তবে তার শ্বশুর বলছেন, ‘শোয়েব আখতার এত বেশি ইনজেকশন নিয়েছে যে এখন হাঁটতেই পারে না। দেখুন, এটাই শোয়েব আখতারের মান। সে এটা করতেই পারে। কঠিন, তবু পারে। কিন্তু সবাই তো শোয়েব আখতার না। চোটের কারণে ইনজেকশন আর ব্যথানাশক নিয়ে খেলাটা কঠিন। কারণ, এর মাধ্যমে চোট আরও গুরুতর হয়ে ওঠার ঝুঁকি থাকে।’

এভাবে খেলোয়াড়দের ওপর একের পর এক কড়া মন্তব্য সহজভাবে নেয়নি ভক্ত-সমর্থকরা। ৪৭ বছর বয়সী এই পেসারকে এখন তুলাধোনা করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। কেউ বলছেন, ‘নিশ্চয়ই শোয়েব পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’। আবার কেউবা বলছেন, ‘ছোট বাচ্চাদের (বাবর) হাতে কয়েকটি কভার ড্রাইভ খেয়ে শোয়েব এখন ঘৃণা ছড়াচ্ছেন। এখন তিনি এটা-সেটা বলে মনের ঝাল মেটাচ্ছেন।’

এএইচএস