শচীন টেন্ডুলকারের পর রেকর্ড ভাঙা-গড়া ও তার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হয় সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। তর্কসাপেক্ষে তিনি বর্তমান বিশ্বের সেরা ব্যাটারদের একজন। জাতীয় দলে সফল এই ব্যাটার দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসর আইপিএলেও নিজের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পসরা সাজান। কিন্তু এখন পর্যন্ত শিরোপা জিততে ব্যর্থ তার দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর। তাই এবার নারী আইপিএলে একই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলা ক্রিকেটার স্মৃতি মান্ধানাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এদিকে, কোহলিকে আদর্শ মানলেও তার সঙ্গে তুলনা করায় এবার বেশ বিরক্তই হয়েছেন মান্ধানা।

এবারের আইপিএলে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে নারী ক্রিকেটারদের নিলাম। যেখানে নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বেঙ্গালোর দলে ভিড়িয়েছে স্মৃতি মান্ধানাকে। ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় দলটি তাকে কিনে নিয়েছে। পরে দলটির নেতৃত্বভারও দেওয়া হয় মান্ধানাকে। কোহলির মতো তিনিও ১৮ নম্বর জার্সি পরেই খেলেন। একইসঙ্গে আইপিএলে দুজনের ফ্র্যাঞ্জাইজি এক হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তাদের নিয়ে তুলনা করে বসেন অনেকে।

কিন্তু এমন তুলনায় যারপরনাই বিরক্ত স্মৃতি মান্ধানা। তার মতে, এভাবে বারবার দু’জনের তুলনা টেনে আনা অর্থহীন।

আরও পড়ুন : ‘বিশ্বের কোটিপতি নারী ক্রিকেটার কারা জানেন?’

বিরাটের সঙ্গে তুলনা প্রসঙ্গে দেশটির অন্যতম প্রধান এই নারী ক্রিকেটার বলেন, ‘এভাবে তুলনা করা আমার একেবারেই ভাল লাগে না। নিজের ক্যারিয়ারে কোহলি যে সাফল্য পেয়েছে, সেটা অবিশ্বাস্য। আমিও আশা করি একদিন ওই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারব। কিন্তু আমি তার ধারে কাছেও যেতে পারিনি। বেঙ্গালোরের হয়েও বিরাটের যে সাফল্য, আমিও সেটা অর্জন করতে চেষ্টা করব।’

বিরাটের আইপিএল ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তিনি বেঙ্গালোরের হয়েই খেলছেন। অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের প্রস্তাব উপেক্ষা বারবারই একই জার্সিতে খেলে গেছেন তিনি। তবে অধিনায়ক হিসেবে সাফল্য না পাওয়ায় কোহলি বেঙ্গালুরুর নেতৃত্বভার ছেড়ে দেন। লিগটির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১৫টি আসরের মধ্যে তিন বার ফাইনাল খেলেছে তার দল। তবে প্রতিবারই রানার-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে কোহলিদের।

এদিকে, স্মৃতি মান্দানা বিশ্বের নারী ক্রিকেটারদের ভেতর আয়ের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন। ক্যারিয়ারের মাঝপথে থাকা মান্ধানা এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রান করেছেন। তার আয়ের পরিমাণ সাড়ে ৪২ কোটি টাকা (৪ মিলিয়ন ডলার)।

এএইচএস