সাদা পোশাকে নিজের প্রথম শতক উদযাপন করছেন গ্রিন

ভারতের মাটিতে চলমান টেস্ট সিরিজের পিচ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। অবশ্য পিচ নিয়ে সেই সমালোচনা অমূলক ছিল না। কারণ তিনটি টেস্টই শেষ হয়ে যায় তিনদিনেই। তৃতীয় ম্যাচে তো আড়াই দিনেই ফল চলে আসে। সেখানে প্রথম জয়ের দেখা পায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। এরপর আইসিসির শাস্তির আওতায় আনা হয় ইন্দোরের পিচকে। দেওয়া হয় ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট। যার কারণেই কি-না চতুর্থ টেস্টে এসে পিচই বদল করে ফেলেছে ভারত। আহমেদাবাদ টেস্টে দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে চারশ’র অধিক রান পাহাড় গড়ছে অস্ট্রেলিয়া।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করে দিনের মাঝামাঝিতেই সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যায় স্টিভ স্মিথের দল। তবে উসমান খাজা ছাড়া কোনো ব্যাটসম্যানই বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারছিলেন না। একপ্রান্ত আগলে রাখা উসমান ১২ পর প্রথম কোনো অজি ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। তার সঙ্গে ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন ক্যামেরুন গ্রিন। দ্বিতীয় দিনে এসে তিনি করেছেন ব্যক্তিগত শতক। তিনি সাদা পোশাকে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন।

২০৮ রানের জুটি গড়ে খাজা-গ্রিন সফরকারীদের বড় সংগ্রহ এনে দেন

সফরকারীরা ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রানে প্রথম দিন শেষ করেছিল। দ্বিতীয় দিন খেলতে নেমে রানের চাকা অব্যাহত রাখেন খাজা ও গ্রিন। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দুজনের জুটিতে আসে ২০৮ রান। যা প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ সংগ্রহ এনে দেয়। ১১৪ রান করে গ্রিন ফিরলেও অন্য প্রান্ত আগলে রাখেন খাজা। গ্রিনকে ফেরান অফ-স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দ্বিতীয় দিনে কিছুটা অজিদের লাগাম টেনে ধরেছেন সাদা পোশাকের এই এক নম্বর বোলার।

আরও পড়ুন : ‘ভারতের মাটিতে ১২ বছরের বৃত্ত ভাঙলেন খাজা’

গ্রিনের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল স্টার্করা। টানা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার ক্যারি। আগের তিন টেস্টের মতো তিনি এবারও নিষ্প্রভ। রানের খাতা খোলার আগেই তাকে ফেরান অশ্বিন। এভাবে উইকেট যেতে থাকায় চাপে পড়ে যান খাজা। ফলে দ্বিশতক থেকে ২০ রান দূরত্বে থেকে তিনি আউট হয়ে যান। এর আগে মাত্র ৫ রানের জন্য প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি না পাওয়া খাজাকে এদিন ১৮০ রানেই ফেরান অক্ষর প্যাটেল।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সফরকারীরা ৮ উইকেট হারিয়ে ৪৩০ রানে ব্যাটিং করছে। দিনের শেষ সেশনে ক্রিজে টেস্ট মেজাজে অপরাজিত আছেন দুই স্পিনার নাথান লায়ন ও টড মারফি। ভারতের হয়ে অশ্বিন ৪টি, মোহাম্মদ শামি ২টি এবং জাদেজা ও প্যাটেল একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এএইচএস