দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশে প্রায় তিনবছর পর সিলেটবাসীর আক্ষেপ ঘুচেছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচের মধ্য দিয়ে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের ম্যাচটির পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রায় তিন বছর পর নিজেদের ঘরের মাঠে খেলা দেখতে পেরে উচ্ছ্বসিত সিলেটের ক্রীড়ামোদী দর্শকরা।

শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই মাঠে দর্শক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এরপর সময় যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে দর্শক সংখ্যা। নিজ শহরে বাংলাদেশের ম্যাচ নিয়ে মানুষের উৎসাহেরও কোনো কমতি ছিল না। খেলা দেখতে আসা অনেকেই দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের পাশাপাশি বিভিন্ন ফ্র‍্যাঞ্চাইজি লীগে যেন কোনোভাবে এই মাঠকে অবহেলা না করা হয়।

বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ দেখতে আসা সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল হক জামিল ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিলেটের মাঠে যখনই বাংলাদেশের খেলা হয় আমি দেখতে আসি। এই মাঠ বাংলাদেশের জন্য একটি লাকি (পয়া) মাঠ। এখানে সবসময়ই বাংলাদেশ ভালো খেলে। অথচ এই মাঠে বাংলাদেশের খুব একটা ম্যাচ হয় না। যা খুবই দুঃখজনক। এসময় তিনি এই মাঠে আরও বেশি বেশি খেলা আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।

দর্শক গ্যালারিতে থাকা উম্মে মারজানা বলেন, ‘আমি জীবনের প্রথমবার মাঠে আসলাম বাংলাদেশের খেলা দেখতে। এর আগে সেই সুযোগ হয়নি। যদিও গত বিপিএলে এখানে খেলা দেখেছি কিন্তু সেটি ছিল স্থানীয় টুর্নামেন্ট। আজকে বাংলাদেশের ব্যাটিং এক কথায় অসাধারণ ছিল। সাকিব আর হৃদয়ের তো কোনো তুলনাই হয় না।’

 

সিলেটের ক্রিকেট ভক্তরা বলছেন, সিলেটের দর্শকদের মধ্যে ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনার কমতি নেই যার প্রমাণ সর্বশেষ বিপিএল-এ মাঠের গ্যালারির পরিসংখ্যানে পাওয়া যায়। অন্যান্য স্টেডিয়ামে যখন দর্শক খরা চলছিল তখন সিলেট স্টেডিয়াম ছিল দর্শকে পরিপূর্ণ। সবুজ টিলা বেষ্টনীর মাঝখানে এরকম স্টেডিয়াম পৃথিবীতে আর কোনোটি নেই বলেও জানিয়েছেন অনেকেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুলবুল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন,বাংলাদেশ আজ খুব ভালো খেলেছে। বাংলাদেশের খেলা যে মাঠেই হোক আমার চাওয়া থাকে যেন দল জিতুক।আর নিজ ঘরের মাঠে রেকর্ড রান করে জয়লাভ করলে তার অনুভূতি অন্যরকম থাকবে।

এর আগে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রানের বড় সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের  ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

মাসুদ আহমদ রনি/এফআই