ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেটের সুপারস্টার সাকিব আল হাসান। খেলার মাঠের বাইরেও কম যান না ক্রিকেটের এই অলরাউন্ডার। বিকেলে ম্যাচ খেলছেন চট্টগ্রামে অথচ সন্ধ্যায় দেখা যাচ্ছে সাকিব ঢাকায়। সর্বশেষ মাসের হিসেব করলে দেখা যায়, সিরিজ চলাকালীন সময়ে মাঠের ব্যস্ততার সঙ্গে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন কিংবা পারিবারিক জমির কাজ সবই নিজ হাতে সামলেছেন সাকিব। 

মাঠের ক্রিকেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাইরের এতকিছু কিভাবে পারেন ৩৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার? সাংবাদিকের করা এমন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি নিজেই। সাকিব বলেন 'যে পারে সে সব পারে।' বিষয়টা এমন সাকিবের কাছে এসব সামলানো এখন মামুলি ব্যাপার।

আজকের দিনটার কথাই ধরুন, দুপুর পর্যন্ত সাভারে ম্যাচ খেলেছেন এরপর হেলিকপ্টারে করে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে একটি বাইক কোম্পানির প্রচারণা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। সাকিবের সঙ্গে আজ গণমাধ্যম কর্মীদের কথা হয়েছে এই অনুষ্ঠানেই।

সেখানে তাদের এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, 'আমার কাছে মজা লাগে, আমি উপভোগ করি এটা। আমার কাছে মনে হয়, আমি যদি কাজ না করি তাহলে আমি পাগল হয়ে যাব। সুতরাং আমি কাজ করতে চাই।'

সাকিব নিজের বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে গিয়ে বলেন, '২০০৬/৭ হবে, আব্বু চালানো শিখিয়ে দিয়েছিল মাগুরাতে। প্রথমবার ঐ সময়েই শেখা। মাগুরাতে যখনই থাকি বাইক চালানো হয়। আর বন্ধুদের সাথে যখন একসাথে বাইক নিয়ে বের হই, ওটার একটা আলাদা মজাই আছে। আমরা গ্রামের ভেতর চলে যাই, আড্ডা দিই। ওটার একটা আলাদা রকম ফিলিংস আছে।'

এছাড়া আইপিএলে নিজের এনওসি দেরিতে পাওয়ার কারণ হিসেবে সাকিব বলেন, 'বোর্ড থেকে আগে থেকেই যখন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ড জানতে চায় কবে থেকে খেলতে পারবো, পুরো সময় অ্যাভেইলেবল আছি কি না। সে সময় এনওসির মতোই আসলে ওদের জানিয়ে দেওয়া হয় কবে থেকে কবে পর্যন্ত খেলতে পারবো। সেখানে ছিল আমাদের যখন আন্তর্জাতিক কমিটমেন্ট থাকবে তখন বিসিবি এলাউ করবে না। সেভাবে বিসিবি করেছে, ওভাবেই আমরা এনওসি পেয়েছি।’

এছাড়া আইপিএলে নিজের এনওসি দেরিতে পাওয়ার কারণ হিসেবে সাকিব বলেন, 'আগে থেকেই যখন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ড জানতে চায়, কবে থেকে খেলতে পারবো, পুরো সময় অ্যাভেইলেবল আছি কি না? সে সময় এনওসির মতোই আসলে ওদের জানিয়ে দেওয়া হয় কবে থেকে কবে পর্যন্ত খেলতে পারবো। সেখানে ছিল আমাদের যখন আন্তর্জাতিক কমিটমেন্ট থাকবে তখন বিসিবি এলাউ করবে না। সেভাবে বিসিবি করেছে, ওভাবেই আমরা এনওসি পেয়েছি।’

এছাড়া জাতীয় দলের সতীর্থ মুস্তাফিজুর রহমানের এনওসি নিয়ে সাকিব বলেন, 'মুস্তাফিজ যদি টেস্ট দলে জায়গা পেতো তাহলে হয়তো তারও এখানে থাকতে হতো। সৌভাগ্যবশত বা দুর্ভাগ্যবশত হোক, ও যেহেতু টেস্ট দলে নেই, তাই যেতে পেরেছে আগে।'

এসএইচ/এইচজেএস