পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে এক সময়কার পরিচিত মুখ উইকেটরক্ষক ব্যাটার কামরান আকমল। এরপর তার আরও দুই ভাই জাতীয় দলে খেলেছেন। তাদের মধ্যে তুলনামূলক সম্ভাবনাময়ী ছিলেন উমর আকমল। তবে বর্তমানে উমর আকমলের দলে সুযোগ পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। জাতীয় দলের জার্সিতে তিন ফরম্যাটেই খেলার অভিজ্ঞতা থাকা এই ব্যাটার সম্প্রতি একটি পডকাস্ট প্রোগ্রামে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন। যেখানে তিনি তার স্বদেশি ক্রিকেটারের গোপন তথ্য ফাঁসের হুমকি দেন।

জাতীয় দলের এক সতীর্থকে উদ্দেশ্য করে আকমল বলেন, ‌‌‘অনেক ক্রিকেটারই বলে থাকেন যে, আমি ম্যাচিউর নই। তাদের মধ্যে এমন ক্রিকেটারও আছেন যাদের সঙ্গে আমি খেলেছি। তারা আমার সিনিয়র এবং তাদের আমি সম্মান করি।’

তবে কার উদ্দেশে উমর আকমল এমন বার্তা দিয়েছেন সেটি স্পষ্ট করেননি তিনি। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার আরও বলেন, ‘আমি বলে দিচ্ছি গোপন তথ্য ফাঁস করতে আমাকে বাধ্য করবেন না। কয়েকজন খেলোয়াড় সম্পর্কে আমি চমকে দেওয়া বিষয় জানি, যা তাদের পরিবার জানলেও মানসিকভাবে আঘাত পেতে পারেন। আমাদের দর্শকরা খুবই ইনোসেন্ট এবং ক্রিকেট দেখতে ভালোবাসে। আমি তাদের এই রুচিকে শ্রদ্ধা করি এবং সেজন্য তাদের কষ্ট পাওয়ার মতো তথ্য জানাতে চাচ্ছি না। যদি সেসব গোপন তথ্য প্রকাশিত হয়, তারা ক্রিকেট দেখা বন্ধ করে দেবে।’

একইসঙ্গে গত পাঁচ বছরে উমর আকমলের চেয়ে অন্য কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারের গড় রান বেশি নয় বলেও দাবি করেছেন তিনি। টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে নিজেকে অন্যতম সেরা মিডল অর্ডার বলেও তিনি নিজের কথা উল্লেখ করেন। ওই পডকাস্ট অনুষ্ঠানে আকমল কারও নাম উল্লেখ না করলেও সামাজিক মাধ্যমে অনেকের মতে, পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজমের কথা বলেছেন তিনি। জাতীয় দলে আকমলের সুযোগ না পাওয়ার পেছনে তারা বাবরকেই দায়ী করছেন। তবে আকমলের কথিত সিনিয়রের সঙ্গে বাবরের মিল পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ বাবরের চেয়ে কমপক্ষে চার বছরের বড় আকমল এবং জাতীয় দলেও তিনি বাবরের সিনিয়র। 

৩২ বছর বয়সী উমর ৮৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১২২.৭২ স্ট্রাইক রেটে ১৬৯০ রান করেছেন। এছাড়া ১৬টি টেস্ট এবং ১২১টি ওয়ানডে ম্যাচও খেলেছেন জাতীয় দলের জার্সিতে। ২০১৯ সালে তিনি সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।

এএইচএস