আইপিএল যাত্রার শুরুটা সুখকর হয়নি লিটন দাসের। দুই ম্যাচ ডাগআউটে কাটানোর পর একাদশে জায়গা পেয়ে সেই সুযোগ তিনি হেলায় নষ্ট করেছেন ব্যাটিং ব্যর্থতা ও বাজে কিপিংয়ে। আর এরপরই বদলে যায় দৃশ্যপট। কেকেআর সমর্থকদের রোষানলে পড়েন টাইগার এই উইকেটকিপার ব্যাটার। এমনকী যে লিটনের বন্দনায় ব্যস্ত ছিল কলকাতার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলগুলো, হঠাৎ যেন সব উধাও। কোথাও নেই লিটন। 

নিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৪ রানে আউট হন লিটন। আরও বড় হতাশার দৃশ্য তিনি উপহার দিয়েছেন উইকেটকিপিংয়ে। দিল্লির বিপক্ষে অন্তত দুটি সহজ স্টাম্পিং মিস করেন। এরপরই রীতিমতো কেকেআর সমর্থকদের রোষানলে পড়েছেন টাইগার এই উইকেটকিপার ব্যাটার। সংবাদমাধ্যমেও খলনায়কের ভূমিকায় দেখানো হয় তার নাম। 

এক ম্যাচে খেলিয়েই লিটনকে বাদ দেওয়া নিয়ে কম আলোচনা হচ্ছে না। টাইগার ব্যাটারকে নিয়ে কলকাতা কর্তৃপক্ষ সরাসরি কিছু না জানালেও ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম ম্যাচে লিটন এতটাই খারাপ উইকেটকিপিং করেছিলেন যে, তাকে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে কেকেআর। সমর্থকদের কেউ কেউ দিল্লির বিপক্ষে হারের জন্য লিটনের বাজে উইকেটকিপিংকেই দুষছেন।

আরও পড়ুন: ধোনির সঙ্গে কি কথা হলো লিটনের?

ইনিংসের ১৮ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বরুণ চক্রবর্তীকে এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন দিল্লির ললিত যাদব। লিটনের সামনে সুযোগ ছিল স্ট্যাম্পিংয়ের। তবে হেলায় সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়। বল হাতে রাখতে পারেননি, স্টাম্পও ভাঙতে পারেননি। পরের ওভারে আরও একবার স্টাম্পিং মিস করেন লিটন। 

ওই দুটি আউট করতে পারলেই ম্যাচটা ঘুরে যেতে পারতো বলে মত অনেকের। ম্যাচে লিটনকে দেখে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল যে কেকেআরের ‘রহস্য’ স্পিনার বরুণের বল পড়তে পারছেন না। তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থা কলকাতার আরেক উইকেটকিপার ব্যাটার এন জগদীশনের।

তবে স্টাম্পিং ছাড়াও লিটনকে বাদ দেওয়ার আরও একটি কারণও ওঠে আসছে। আর তা হচ্ছে, দলের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য লিটনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পেস বোলার নিয়ে সমস্যায় পড়েছে কেকেআর। লকি ফার্গুসন এবং টিম সাউদি দু'জনই ব্যর্থ হচ্ছেন। সেই সঙ্গে আন্দ্রে রাসেলও ছন্দে নেই। তাই পেস বোলার এবং ফিনিশার হিসেবে সর্বশেষ ম্যাচে ডেভিড ওয়াইজিকে নেওয়া হয়েছে। আর সেই সিদ্ধান্তটা আরও সহজ করে তুলেছে উইকেটের পেছনে লিটনের ব্যর্থতা। 

এফআই