ছবি: সংগৃহীত

টসের সময় প্যাট কামিন্স বললেন, ‘অসাধারণ অর্জন।’ অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের এই কথায়ও আসলে পুরোপুরি ফুটে উঠল না সবকিছু। নাথান লায়ন যে কীর্তিটি গড়লেন, টেস্ট ইতিহাসেই তো এটি অনন্য। টেস্ট ইতিহাসের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে পারেননি আর কেউ। 

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টের একাদশে থেকেই এই রেকর্ডে নাম লেখা হয়ে গেছে লায়নের। অ্যাশেজের এই ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ান অফ স্পিনারের টানা শততম টেস্ট। টানা ১০০ টেস্ট খেলার কৃতিত্ব আগেও দেখিয়েছেন ৫ ক্রিকেটার। তবে লায়নই প্রথম বিশেষজ্ঞ বোলার হিসেবে ধারাবাহিকতার এমন নজির গড়লেন।

২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লায়নের টেস্ট অভিষেক। গলে সেই ম্যাচে প্রথম বলেই কুমার সাঙ্গাকারাকে আউট করে ক্রিকেটে অভিজাত এই সংস্করণে তার পথচলা শুরু। প্রথম ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট।

অভিষেক থেকে টানা ৯ টেস্ট খেলার পর প্রথমবার একাদশে জায়গা পাননি তিনি ২০১২ সালের জানুয়ারিতে। ভারতের বিপক্ষে পার্থের বাউন্সি উইকেটে ওই ম্যাচে চার পেসার নিয়ে একাদশ সাজায় অস্ট্রেলিয়া। পরের টেস্ট থেকেই আবার টানা ১১ ম্যাচে তার ওপর ভরসা রাখে দল। দ্বিতীয়বার তিনি একাদশ থেকে বাদ পড়েন ২০১৩ সালের ভারত সফরে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে হায়দরাবাদে দল বেছে নেয় বাঁহাতি স্পিনার জেভিয়ার ডোহার্টিকে।

এবারও এক টেস্ট পরই তিনি দলে ফেরেন। এরপর আবার তার একাদশে জায়গা না পাওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় ২০১৩ অ্যাশেজের শুরুতে। ইংল্যান্ডে সেবার প্রথম দুই টেস্টে অস্ট্রেলিয়া সেবার বেছে নেয় বাঁহাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগারকে।

লায়ন ফেরেন তৃতীয় টেস্টে। এরপর আর পেছনে তাকাতাকি নেই। ২০১৩ সালের ১ অগাস্ট ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্ট থেকে এবার এই লর্ডস টেস্ট, টানা ১০০ টেস্টে তাকে ছাড়া একাদশ গড়ার সুযোগ তিনি দেননি দলকে।

টানা ১০০ টেস্টে খেলার কীর্তি প্রথম গড়েন সুনিল গাভাস্কার। পরে রেকর্ডটিকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যান অ্যালান বোর্ডার। আরেক অজি মার্ক ওয়াহ খেলেন টানা ১০৭ টেস্টে, নিউ জিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ১০১ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারের সব ম্যাচই খেলেন টানা। বোর্ডারের টানা ১৫৩ টেস্ট খেলার রেকর্ডটি ভাঙা একসময় অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু সেটিকেও সম্ভব করে ছাড়েন অ্যালেস্টার কুক।

এইচজেএস