শান্ত থাকতে চাইলেও আগ্রাসন চলে আসে: শরিফুল
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর দিনে বল হাতে বড় অবদানই রেখেছেন শরিফুল ইসলাম। এই পেসার শেষ ওয়ানডেতে শিকার করেছেন ৪ উইকেট। আর তাতে আফগানদের নাগালের মধ্যেই রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে জয়ের দিনে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে শরিফুলের হাতেই।
পুরস্কার বিতরণী শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন শরিফুল। সে সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তার আগ্রাসন নিয়ে। জাবাবে বলছিলেন, ‘জেদ ছিল না। আমি অনুশীলনে যেমন চেষ্টা করছিলাম, ম্যাচেও তেমনই বোলিং করার চেষ্টা করেছি। শরীরী ভাষাটা চলে আসে। ড্রেসিংরুমে গিয়ে ভাবি যে এমন করা যাবে না। শান্ত থাকতে হবে। কিন্তু তবু নিজ থেকেই চলে আসে (আগ্রাসন)।’
বিজ্ঞাপন
প্রথমবার ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নেওয়ার সুযোগ আসলেও সেটি হয়নি, মূলত পেশির টানের কারণে তিনি কোটার নির্ধারিত ১০ ওভার পূরণ করতে পারেননি। শরিফুল বলছিলেন, ‘চেষ্টা তো ছিল। কিন্তু দেখছিলাম ক্র্যাম্প করছে। আামি যদি জোর করে বল করতাম, চোটে পড়তে পারতাম। এদিকে লুজ বল হলে বাউন্ডারি হয়ে যেত। তাই আমি চিন্তা করেছি আমার দলের ভালো একজন বোলার, যিনি কিনা শতভাগ দিতে পারবেন, তারই বোলিং করা উচিত।’
নতুন বলে চট্টগ্রামের উইকেটেও বেশ কিছু বাউন্সার দিয়েছেন শরিফুল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শুরুতে দুই-তিন বল সামনে করার পর দেখলাম কিছু হচ্ছে না। পরে তাসকিন ভাইও বললেন ব্যাক অব লেংথে করলে ভালো হবে। আপ অ্যান্ড ডাউন হওয়ার চান্স আছে। তখন দুজন মিলে পরিকল্পনা বদল করেছি।’
বিজ্ঞাপন
এসএইচ/এইচজেএস