একজন ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক, আরেকজন তার ডেপুটি অর্থাৎ সহকারী অধিনায়ক। নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি না থাকলে দলের দায়িত্বভার সামলান রোহিত শর্মা। দল চাপে পড়লে দুজন পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেন। তবে মাঠে থাকাকালীন তাদের মধ্যে কিছুটা কথা চালাচালি হলেও মাঠের বাইরে দুজনে বৈরী সম্পর্ক অজানা নয় সমর্থকদের। দুজনের মান অভিমান দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি বিরাট-রোহিতের মধ্যকার ঝগড়া মিটিয়েছেন ভারত জাতীয় দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী।

এমনই খবর জানাল ভারতের একটি গণমাধ্যম। রবি শাস্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তারা লিখেছে, সদ্য সমাপ্ত ইংল্যান্ড সিরিজে দলের ভালো ফলের জন্য বিরাট-রোহিতকে সামনাসামনি বসিয়েছিলেন শাস্ত্রী। সেখানে তাদের দুজনে মধ্যকার দ্বন্দ্ব চুকে যায়।

সেই গণমাধ্যকে রবি শাস্ত্রী বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় সিরিজ জয়ের পাশাপাশি আমাদের সবচেয়ে বড় পাওনা হল ড্রেসিং রুমের পরিবেশ। গত কয়েক সপ্তাহে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের বেশ উন্নতি হয়েছে। সকলেই বুঝতে পারছে একসঙ্গে কাজ করলে সেটা দলের পক্ষেই মঙ্গল। গত চার মাসে এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য।’ 

ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ শাস্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘বাইরে থেকে অনেক মানুষের অনেক কথা আমাদের সমস্যায় ফেলছিল। অনেক দিন ধরেই এই নিয়ে একটা জলঘোলাও হচ্ছিল। দেখুন, আর পাঁচজন পেশাদার ক্রিকেটারের মতো বিরাট এবং রোহিতের মধ্যেও একাধিক ইস্যুতে মতানৈক্য ছিল। একাধিক ক্ষেত্রে সেটা বোঝাও গিয়েছে। তবে কিছুদিন আগে তারা একে অপরের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। এখন দুজনের সমস্যা অনেকটাই মিটে গেছে।’

রোহিত-বিরাটের শীতল সম্পর্কের গুঞ্জন প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১৯ সালে, ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আগে। এরপর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর খোদ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড গোপন তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছিল বলে খবর বের হয়। গুঞ্জন আরও ডালপালা মেলে সে সময় বিরাটকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোহিত আনফলো করলে। যদিও প্রকাশ্যে কখনওই বিরাট ও রোহিতকে একে অপরের বিরুদ্ধে কিছু বলতে শোনা যায়নি।

টিআইএস/এটি