পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ নিয়ে হাল ছাড়েনি বিসিবি
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে আগামী ১২ এপ্রিল এদেশে আসার কথা রয়েছে পাকিস্তানি যুবাদের। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। ফলে এ সিরিজ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে দুই দেশের খেলা মাঠে গড়ানোর বিষয়ে এখনো আশাবাদী বিসিবি।
আজ (রোববার) ঢাকা পোস্টকে বিসিবির গেম ডেভলপমেন্টের ম্যানেজার আবু ইনাম মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘কঠোর নির্দেশনার ঘোষণা আসলেও কিন্তু সরকারের অফিশিয়াল গাইডলাইন এখনো আমাদের হাতে আসেনি। আমরা জানি না সেখানে কি থাকবে। ক্রিকেট চলবে না কি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থাকবে আমরা জানি না।’
বিজ্ঞাপন
সঙ্গে যোগ করেন কায়সার, ‘তবে এখন পর্যন্ত আমরা এই সিরিজ নিয়ে আশাবাদী। শুধু আশাবাদীই নই, আত্মবিশ্বাসীও। কারণ, সুরক্ষার ব্যাপারে আমরা সবসময়ই কঠোর। বিদেশি কোনও দল খেলতে আসলে তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করে তিনবার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলে তবে অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর চারদিন পর পর আবার টেস্ট করা হয়। এর সিরিজ চলাকালীন তো বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই কারও। খেলাও হবে দর্শক ছাড়া মাঠে। তো আমরা এখনো পর্যন্ত এ সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।’
একমাত্র চারদিনের ম্যাচের সঙ্গে ৫টি ওয়ানডে ম্যাচের সূচি রয়েছে দুই দলের। তবে পাকিস্তান দল যে সময় আসবে, তখন দেশে লকডাউন চলবে। এমন পরিস্থতিতে যদি ক্রিকেট বন্ধের ঘোষণা আসে, তবে কোন পথে হাঁটবে বোর্ড? সরকারের কাছে বিশেষ আবেদন হবে খেলা চালানোর জন্য?
বিজ্ঞাপন
এমনিতেই নতুন অনূর্ধ্ব-১৯ দল গঠনের পর এখনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। করোনার কারণে ভেস্তে গেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ, এবার একই কারণে শেষপর্যন্ত এ সিরিজ না হলে ২০২২ যুব বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার মিশনে পিছনে পড়বে কি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা? তেমনটি অবশ্য মনে করেন না কায়সার।
কায়সার জানালেন, ‘এটা তো এখনই বলা যাচ্ছে না। সরকার কি গাইডলাইন দেয় সেটি আগে দেখতে হবে। আবেদনের বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। তবে প্রস্তুতিত কথা যদি বলেন, আমরা পিছিয়ে নেই। সবে মিলিয়ে একশো দিনের উপর অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে ছেলেরা। আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেললেও নিজেদের মধ্যে, হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলা হয়েছে। পৃথিবীর অন্যকোন অনূর্ধ্ব-১৯ দল এখনো এতো প্রস্তুতি নিতে পারেনি।‘
টিআইএস/এটি