খেলবে খেলোয়াড়রা, কোচেরা নয়
খালেদ মাহমুদ সুজন/ফাইল ছবি
নিউজিল্যান্ডে ভরাডুবি। তাসমান সাগরপাড়ে ষষ্ঠ সফরেও জয়বঞ্চিত থেকে ফিরেছে বাংলাদেশ। তাতে দলে, কোচিং স্টাফে বড় পরিবর্তনের একটা গুঞ্জনও ভালোভাবেই ছিল। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন অবশ্য এতে খেলোয়াড়দের দায়ই দেখছেন বেশি।
ব্যাটিং, বোলিং, আর ফিল্ডিং; তিন বিভাগেই নিউজিল্যান্ডে ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। বিশেষত বাজে ফিল্ডিং দৃষ্টিকটুভাবে নজরে এসেছে এ সফরে। তিন ম্যাচের ওয়ানডের পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ধবলধোলাইয়ের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। ফলে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছিল কোচিং স্টাফদের নিয়েও।
বিজ্ঞাপন
তবে বোর্ড পরিচালক সুজনের মতে, দায়টা খেলোয়াড়দের কাঁধেই বর্তায় বেশি। সাবেক বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের কথা, ‘পারফরম্যান্স তো কোচের ওপর নির্ভর করে না। খেলবে খেলোয়াড়রা, কোচেরা নয়। কোচ তো হাজারটা প্ল্যান দিয়ে দিতে পারে। কিন্তু মাঠে যদি সেটার প্রতিফলন নাই দেখাতে পারলেন আপনি, তাহলে সে পরিকল্পনার লাভ কী?’
খেলোয়াড় আর কোচের কাজটা সম্পূরক, মনে করেন সুজন। বললেন, ‘এটা আসলে সম্পূরক একটা ব্যাপার। কোচ প্লানিং দিতে পারে, ট্রেনিং দিতে পারে, কিন্তু প্লেয়ারদের ভালো খেলতে হবে। আবার প্লেয়াররা ভালো খেলছে কিন্তু প্লানিং ভালো হচ্ছে না তাহলে আবার হবে না।’
বিজ্ঞাপন
নিউজিল্যান্ডে এ দুঃসময় পার করে আসার পরও কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর প্রতি প্রশংসাই ঝরে পড়ল বিসিবি কর্তার কণ্ঠে। বললেন, ‘আমি তো পার্সোনালি জানি, সে ভালো কোচ। এখন কাছ থেকে আমি যখন দেখব তখন আরো ভালো বোঝা যাবে। অবশ্যই আমরা চিন্তা ভাবনা করেই রাসেলকে নিয়েছিলাম। সে ভালো কোচ তো অবশ্যই।’
এরপরও কেন বারবার ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে আছে বাংলাদেশ? সে ব্যাপারে সুজন নিরুত্তর। বললেন, ‘কো অর্ডনেশনেরে ব্যাপারটা খুব ইমপরট্যান্ট। জানি না কেন এরকম হচ্ছে, বারবার কেন হচ্ছে। আমরা ভালো করেছি, ওয়ানডেতে আবার করিনি। সুতরাং কাছাকাছি না মিশলে কমেন্ট করাটা আসলে ডিফিকাল্ট।’
এনইউ/এটি