টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দামী ম্যাচটাই কিনা হল সবচেয়ে একপেশে! এশিয়া কাপে ভারত-শ্রীলংকা ম্যাচ যেমন শেষ হয়েছিল সিরাজের বোলিং তাণ্ডবে। সেই একই অবস্থা হল ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ সিপিএলে। গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ে টিকতেই পারেনি ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। ১০০ এর নিচেই থেমেছে তাদের ইনিংস। আর সেটা টপকাতে গায়ানাকে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি।

টস জিতে বোলিং করারব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গায়ানা অধিনায়ক ইমরান তাহির। তবে চ্যাডউইক ওয়ালটন এবং মার্ক দেয়ালের সূচনা ছিল উড়ন্ত। দুজন মিলে রান উঠিয়েছেন ওভারপ্রতি ৮ করে। তবে এই সুখের সময় টিকেছিল কেবল ৩ ওভার। ২৫ রানেই প্রথম উইকেটের পতন। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের প্রথম আঘাত। 

২৯ থেকে ৪৯ এই ২০ রানে ত্রিনবাগো হারিয়েছে ৫ উইকেট। ৫০ পেরুনোর আগেই নেই ৬ উইকেট। ক্রিজে এসে ব্যর্থতার তালিকায় নাম লিখিয়েছেন নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ডদের মত বড় তারকারা। 

ক্রিজের একপ্রান্ত আগলে ছিলেন কেসি কার্টি। ডোয়াইন ব্রাভোকে নিয়ে তার ৩২ রানের জুটি ত্রিনবাগোকে দেখাচ্ছিল ১০০ পেরুনোর স্বপ্ন। তবে ৮১ রানে ব্রাভোকে হারিয়ে আরও বেশি চাপে পড়ে যায় গায়ানা। সেই চাপ আর সামলানো হয়নি তাদের। অলআউট হতে হয়েছে মাত্র ৯৪ রানে। গায়ানার হয়ে ৪ উইকেট পান প্রিটোরিয়াস।

ব্যাট হাতে গায়ানার ইনিংস ছিল অনেকটাই পিকচার পারফেক্ট। আকিল হোসাইনের বলে কিমো পল উইকেট না খুইয়ে আসলে পুরো মার্কসই পেতেন গায়ানার ব্যাটাররা। উইকেট তারা হারিয়েছে ওই একটিই। সামি আইয়ুবের ৫২ আর শাই হোপের ৩২ গায়ানাকে এনে দেয় ৯ উইকেটের সহজ জয়। 

ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন ২৬ রানে ৪ উইকেট নেওয়া প্রিটোরিয়াস। ম্যান অব দ্য সিরিজ গায়ানার শাই হোপ। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান স্কোরার (৪৮১ রান) ছিলেন তিনি। 

জেএ