বিশ্বকাপ শিরোপার সঙ্গে আয়োজক ভারতের বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি/বিসিসিআই

ভারতে রুদ্ধশ্বাস করোনার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। এভাবে চলতে থাকলে চলতি বছরের বিশ্বকাপের কি হবে? এ ভাবনা থেকে ভারতে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে নড়েচড়ে বসল আইসিসি। জানাল, শেষ মুহূর্তে কোনো জটিলতা দেখা দিলে দুর্যোগ এড়াতে বিকল্প ভেন্যুও মাথায় রেখেছে সংস্থাটি। 

তবে আপাতত করোনার প্রকোপের পরও ভারতে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে কোনো সন্দেহে নেই আইসিসি। বিশ্বকাপের আগে বাকি আছে আরও ছয় মাস। এ সময়ে পরিস্থিতি শুধরে যাওয়ার আশায় আছে দুই পক্ষই। 

সাম্প্রতিক চিত্র অবশ্য আশা দেখাচ্ছে না কোনো পক্ষকেই। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত দেশটি। গত ৬ মার্চ নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দেশটির ১ লক্ষ ১৫ হাজারের মতো মানুষ।

এ কারণেই আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ এলারডিস সংবাদসংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছেন নিজেদের বিকল্প পরিকল্পনার কথা। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিকল্প পরিকল্পনা আছে। তবে এখন পর্যন্ত ভারতেই সূচি মেনে বিশ্বকাপ আয়োজনে জোর দেওয়া হচ্ছে। তাই এখনই বিকল্প পরিকল্পনায় খুব একটা এগোইনি আমরা। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে আমাদের। সঠিক সময়েই একমাত্র বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর চিন্তাভাবনা করা হবে।’

যদিও সেটা আইসিসির অনেক দূরের ভাবনা। আপাতত বিশ্বক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনে। আগামী জুনে ইংল্যান্ডে আয়োজিত হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। যেখানে টেস্ট শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড। 

আইসিসির প্রধান নির্বাহী এলারডিস জানান, সেটাই আপাতত প্রাধান্য পাচ্ছে আইসিসির কাছে। বললেন, ‘এখনো বিশ্বকাপের সময় আসেনি আমাদের সামনে, কিছু সময় আছে হাতে। সামনেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। আপাতত সেদিকেই আমরা মনোযোগ দিচ্ছি।’

করোনা প্রতিষেধক চলে এসেছে ইতোমধ্যেই। যে কারণে জৈব-সুরক্ষা বলয় ভাঙার প্রবণতাও বেড়ে গেছে। তবে এলারডিস জানিয়েছেন, এখনই করোনার প্রতিষেধক নেওয়া বাধ্যতামূলক করতে পারবে না আইসিসি। যে কারণে জৈব-সুরক্ষা বলয় মানতে হবে কঠোরভাবে।

এনইউ/এটি