বারবার ক্যাচ ফসকানো অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিংই এখন বড় বিস্ময়
শুধু ক্যাচ নয়, এদিন ম্যাচও ফসকে গেছে অজিদের
এক সময় বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দল বলা হতো অস্ট্রেলিয়াকে। ৩০ গজ বৃত্তের ভেতরেই হোক বা বাউন্ডারিতে, অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডাররা দাপট দেখাতেন। অন্য সব দল তাদের দেখে নিজেদের ফিল্ডিং উন্নত করার চেষ্টা করতো। সেই দলের হলোটা কী? বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৬টি ক্যাচ ছাড়লেন অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডাররা। তাতে চিন্তা বাড়াচ্ছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচের দশম ওভারে ক্যাচ পড়া শুরু অজিদের। প্যাট কামিন্সের বল টেম্বা বাভুমার ব্যাটে লেগে উপরে ওঠে। ফাইন লেগে ছিলেন অ্যাডাম জাম্পা। তার কাছে অনেক সময় ছিল বলের কাছে পৌঁছানোর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্যাচ ধরতে পারেননি তিনি। বল তার হাতের পাশে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে আবার বাভুমার ক্যাচ পড়ে। এ বার জাম্পার বলে তার ক্যাচ ছাড়েন উইকেটরক্ষক জশ ইংলিশ। তিন ওভার পরে তৃতীয় বারের জন্য বাঁচেন বাভুমা। এবার মার্কাস স্টোইনিসের বলে তার শট মিড উইকেট অঞ্চলে যায়। শন অ্যাবট ক্যাচ ধরেন। কিন্তু নিজের শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ফলে বল ছুড়ে দেন মিচেল স্টার্কের দিকে। কিন্তু স্টার্কের থেকে বল দূরে পড়ায় ধরতে পারেননি তিনি।
বিজ্ঞাপন
৩০তম ওভারে মার্করামের ক্যাচ পড়ে। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ছাড়েন কামিন্স। বল তার হাতের কাছেই ছিল। দু’হাত নিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু ধরতে পারেননি তিনি। বল তার হাতের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যায়।
শেষ দিকে ৪৯তম ওভারে জোড়া ক্যাচ পড়ে। প্রথমে কামিন্সের বলে ডেভিড মিলারের শট ধরতে গিয়ে ফসকান স্টার্ক। দুই বল পরে মার্কো জানসনের সহজ ক্যাচ হাত ছাড়া করেন স্টোইনিস।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের মধ্যে বাভুমার ক্যাচ তিনবার এবং মার্করাম, জানসেন ও মিলারের ক্যাচ একবার করে পড়ে।
ম্যাচে অজিদের ১৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় প্রোটিয়ারা। বড় জয়ে বিশ্বকাপ আসরে এখন পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে প্রোটিয়ারা।
জেডএস