বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ব্যাট করতে নেমে শচীনকে টেক্কা দেওয়ার দিনে ক্যামেরার লেন্স বারবার খুঁজে ফিরছিল কেবল বিরাট কোহলিকেই। ৫০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে শচীনের সেঞ্চুরির মুকুট কেড়ে নেন কোহলি। তারই উপস্থিতি। সেই সঙ্গে দুর্ধর্ষ শতরান হাঁকান শ্রেয়াস আইয়ার। তবে শেষমেশ সব আলো কেড়ে নেন মোহাম্মদ শামি।

বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৭ উইকেট নিয়ে এক যুগ পর ভারতকে ফাইনালে তোলার মহানায়ক ভারতীয় এই পেসার। বুধবার মুম্বাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই জয়ের পর থেকে কেইন উইলিয়ামসনদের দেশে নাকি ‘নিষিদ্ধ’ শামি। এমনটাই জানিয়েছেন বলিউড অভিনেতা সনু সুদ। তবে বিষয়টি স্রেফ রসিকতা করেই বলেছেন এই অভিনেতা। 

বিশ্বকাপে শুরুর কয়েক ম্যাচে একাদশেই জায়গা পাননি মোহাম্মদ শামি। স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স এবং নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ ও বাবার মৃত্যু সব মিলিয়ে ভারতীয় এই পেসার কী বিভীষিকাময় সময়ই না পার করেছিলেন! বেশ কয়েকবার নাকি আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছিলেন। সেখান থেকেই হয়তো মাঠের পারফরম্যান্সে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নেন শামি। এরপর বিশ্বকাপের ৬টি ম্যাচেই নিয়েছেন সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট। মুম্বাইয়ের ব্যাটিং স্বর্গ উইকেটেও সেমিফাইনালের মতো মঞ্চে তিনি একে একে ৭ উইকেট নিয়েছেন।

শামির পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেটপ্রেমীরা। সনুও তার বাইরে নন। ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালে শামির ৭ উইকেট নেওয়ার পর উচ্ছ্বাস গোপন করেননি এই অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডলে শামিকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ‘ব্রেকিং নিউজ: নিউজিল্যান্ডে শামি কাবাব নিষিদ্ধ!’ অভিনেতার রসিকতার জবাব দিয়েছেন শামিও। তিনি শুধু লিখেছেন, ‘হাহাহাহাহা’। সঙ্গে দিয়েছেন ভালোবাসার ইমোজি।

সেমিফাইনালে ৭ উইকেট নেওয়া ছাড়াও বিশ্বকাপে ইতোমধ্যে একাধিক নজির গড়েছেন শামি। বিশ্বকাপে দ্রুততম ৫০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন। বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সেরা বোলিং করেছেন। তা ছাড়া ভারতীয় বোলারদের মধ্যে বিশ্বকাপে তিনিই এখন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (৫৪)।

এফআই