বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল শুরু হতেই পিচ বিতর্কের উত্থান। যা ফাইনালের আগে আরও মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে। সেমিফাইনালে ভারত প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল, যেটি হয়েছিল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। ফাইনালের ভেন্যু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম হলেও, সেই বিতর্ক সেখানেও পৌঁছে গেছে। কারণ শিরোপার মঞ্চের একটি দল স্বাগতিক ভারত। ফাইনাল ভেন্যুতে পা রেখেই রোহিত শর্মা ও রাহুল দ্রাবিড়রা পিচ ভালো করে খুঁটে দেখেছেন। বাদ যাননি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও।

পরে তার সংবাদ সম্মেলনেও তোলা হয় পিচ প্রসঙ্গ। জবাবে কামিন্স স্পষ্ট জানিয়ে দেন— যে দেশের মাটিতে খেলা তারা কিছুটা সুবিধা পাবেই। তবে অস্ট্রেলিয়াও পাল্টা লড়াই করতে প্রস্তুত। এর আগে এই অজি অধিনায়ককে দেখা যায় পিচের ছবি তুলে রাখতে। ম্যাচের আগেও পিচ একইরকম থাকে কি না, সেই চিত্র-ই কী মিলিয়ে দেখতে চাইলেন কামিন্স! 

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের সেমিফাইনাল ম্যাচের পিচ নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। সে সময় ভারতের বিপক্ষে পিচ বদলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে আইসিসিকে মেইল করে অভিযোগ জানিয়েছিলেন আইসিসির পিচ প্রস্তুতকারক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন। ফাইনালের পিচ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। পরে তার জবাবে আইসিসি জানায়– এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। এতে সমস্যার কিছু নেই।

অজি অধিনায়ককে সংবাদ সম্মেলনে জিজ্ঞেস করা হয়– পিচ দেখেছেন? কেমন মনে হলো? জবাবে কামিন্স বলেন, ‘হ্যাঁ দেখেছি। আমি আসলে পিচ নিয়ে বেশি কিছু বুঝি না। তবে বেশ শক্ত লেগেছে। ওরা পানি দিয়েছিল, যা আরও ২৪ ঘণ্টা না গেলে বোঝা যাবে না। এমনিতে দেখে মনে হচ্ছে উইকেটটা ভালো। এর আগে বোধহয় পাকিস্তান একই পিচে কারও সঙ্গে খেলেছিল।’

আহমেদাবাদে একটি ম্যাচই খেলেছিল পাকিস্তান, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। অনেকটা একপেশে ম্যাচটিতে রোহিত শর্মার দল বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। এই পিচে খেলা কঠিন হবে কি না এমন প্রশ্নে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের উত্তর, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে নিজের দেশের পিচে খেলার কিছু সুবিধা রয়েছে। কিন্তু আমরাও এখানে কম ক্রিকেট খেলিনি। এই পিচে খেলতে গেলে সাহসী হতে হবে। মন্থর ও বাউন্সার বলের মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখতে হবে। বলের পেছনে সব সময় তাড়া করলে হবে না। সেটা এখন পর্যন্ত ভালভাবেই করতে পেরেছি। বিশেষত ইনিংসের শেষদিকে বুদ্ধি খাটিয়েছি আমরা।’

ভেন্যু এবং টস অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেও মন্তব্য করেছেন কামিন্স, ‘দেখা যাক কী হয়। আমার মনে হয় অন্যান্য ভেন্যুর মতোই হবে এটাও, টসও এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আহমেদাবাদ হতে পারে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের মতো। সবমিলিয়ে আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। আরেকটু অপেক্ষা করা যাক। তবে আমরা নিশ্চয়ই কিছু পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করব।’

ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মহারণী ফাইনাল আগামীকাল দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে। এর আগে ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। যেখানে সৌরভ গাঙ্গুলির দল শিরোপা খুইয়েছিল রিকি পন্টিংদের কাছে। এবার রোহিত-কোহলিরা সেই শোধ নিতে পারেন কি না সেটাই দেখার বিষয়। যদিও রাউন্ড রবিন লিগে প্রথম দেখায় ভারতের কাছে পাত্তাও পায়নি অস্ট্রেলিয়া। 

এএইচএস