প্রোটিয়াদের পাত্তাই দিলো না ভারত
প্রথম ইনিংসের পরেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ভাগ্য। আর্শদীপ সিং এবং আবেশ খানের আগুন ঝরানো বোলিংয়ের তোপে নিজেদের মাটিতে সর্বনিম্ন রানের লজ্জা পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জয় পেতে হলে বল হাতে তাই অসাধারণ কিছুই করে দেখাতে হতো তাদের। কিন্তু সেটা হয়নি। যে পিচে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা নাস্তানাবুদ হয়েছেন, সেখানেই সাবলীল ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়েছে ভারত।
বিশ্বকাপের পর তাই দুইদলের প্রথম দেখাতেও ফলাফল খুব একটা বদল হলো না। প্রোটিয়াদের পাত্তা না দিয়ে একপেশে এক ম্যাচ জয় করলো ম্যান ইন ব্লুরা। সাই সুদর্শন এবং শ্রেয়াশ আইয়ারের দুই অর্ধশতকের পাশাপাশি আর্শদীপ এবং আবেশ খানের ব্যাটে ভর করে প্রথম ওয়ানডেতে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে ভারত।
বিজ্ঞাপন
১১৭ রানের ছোট্ট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ ওভারেই উইয়ান মাল্ডারের বলে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে হারায় ভারত। তবে সাই সুদর্শনকে নিয়ে পাল্টা প্রোটিয়া বোলারদের ওপর চাপ তৈরি করেন শ্রেয়াস আইয়ার। দুজন মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৩ বলে ৮৮ রানের জুটি গড়েন। ফিকোয়াওয়ের বলে আইয়ারের আউটে ভাঙ্গে তাদের জুটি। ৪৫ বলে ৫২ রান করে ফিরে যান আইয়ার। তবে সুদর্শন টিকে ছিলেন। ৪৩ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এর আগে ব্যাট করতে ভারতের পেসারদের তোপের মুখে পড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। আরও একটু পরিস্কার করে বললে টিম ইন্ডিয়ার দুই পেসার আর্শদীপ সিং ও আবেশ খানের আগুনে পুরে ভস্ম হয়েছে প্রোটিয়া ব্যাটাররা। মূল দলের অনেকেই নেই স্কোয়াডে। একেবারেই তরুণদের নিয়ে গড়া এক দল হাজির হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
প্রোটিয়াদের ৯টি উইকেটেই পেয়েছেন এই দুই পেসার। প্রথম ভারতীয় পেসার হিসেবে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন আর্শদীপ সিং। এ ছাড়া চারটি উইকেট গেছে আবেশ খানের দখলে। বাকি একটি উইকেট কুলদীপের দখলে গেছে।
নবম উইকেটে অ্যানডাই ফেলুকায়ো এবং কেশব মহারাজ মিলে কিছুটা প্রতিরোধ না গড়লে আরও বড় লজ্জায় পড়তে হতো প্রোটিয়াদের। এ দুজন মিলে যোগ করেন ২৮ রান। তাতেই নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের লজ্জা থেকে বেঁচে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এগার নাম্বারে নামা তাবরাইজ শামসি ৮ বলে ১১ রান করে দলের স্কোর টেনে নিয়ে যান ১১৬ পর্যন্ত।
জেএ