দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ সিলেটে ক্রিকেট মানেই বাড়তি উচ্ছ্বাস–উল্লাসে ভরপুর পরিস্থিতি। হোক না সেটি আন্তর্জাতিক কিংবা বিপিএলের কোনো ম্যাচ। ঘরের মাঠে খেলা দেখতে কখনো কার্পণ্য করেন না সিলেটের ক্রীড়ামোদী দর্শকরা। আর সেটি যদি হয় ছুটির দিনে, তাহলে তো আর কথা–ই নেই। ঢাকা পর্বের ৮ ম্যাচেও দর্শকদের কম-বেশি উপস্থিতি ছিল। তবে সিলেটে বিপিএলের ম্যাচ গড়াতেই গ্যালারি এখন ‘হাউসফুল’! 

আজ (শুক্রবার) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুটি ম্যাচ। সেখানে আবারও মাতোয়ারা দেখা গেছে দর্শকের। এদিন জুমার পরপরই মাঠে আসতে থাকেন দর্শকরা। বেলা যত গড়াতে থাকে, ততই গ্যালারিতে বাড়তে থাকে দর্শকের সংখ্যা। যদিও দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্সের ম্যাচ ছিল। তারপরও দর্শক সংখ্যা নেহায়েত কম ছিল না।

ব্যাট-বলের লড়াই তারা সমস্বরে উপভোগ করেছেন। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচকে ঘিরেও অপেক্ষায় ছিলেন দর্শকরা। কারণ ঘরের মাঠে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে খেলবে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়ন থেকে আসা আশরাফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, আমি এসেছি মূলত সিলেট স্ট্রাইকার্সের খেলা দেখতে। ঘরের মাঠে প্রিয় দলকে সাপোর্ট করতে চেয়েছি। বিকেল ৪টায় এসে রংপুর ও খুলনার খেলাও উপভোগ করেছি অনেক।

মাঠে খেলা দেখতে আসা মৌলভীবাজারের রাজনগরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মাসুম আহমদ বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় সিলেট টাইগার্সের খেলা দেখতে অনেকদূর থেকে এসেছি। এই টুর্নামেন্টের ঢাকা পর্বে সিলেট টাইগার্স ভালো না করতে পারলেও, সিলেট থেকে ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশাবাদী তিনি।

সিলেটের দর্শক উপস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, সিলেটের মানুষ সবসময় ক্রীড়াপ্রেমী। সেটা হোক ফুটবল কিংবা ক্রিকেট। দেশের অন্যান্য মাঠ কিংবা ভেন্যুগুলোতে দর্শকখরা থাকে, সিলেটের মাঠে কখনোই দর্শক খরা থাকেনা। এখানে সব সময় মাঠে দর্শকের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়।

উল্লেখ্য, এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত হওয়া দুটি ম্যাচেই হেরেছে মাশরাফির সিলেট। প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৪ উইকেট এবং পরেরটিতে রংপুর রাইডার্স তাদের হারায় ৭ উইকেটে। ঘরের মাঠে আজ তারা আসরের প্রথম জয়ের খোঁজে নেমেছে।

মাসুদ আহমদ রনি/এএইচএস