এক উবাইদ শাহর বোলিং তোপেই যেন পুড়ে খাক হলো বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। জিসান আলম, আশিকুর রহমান শিবলী, আরিফুল ইসলাম প্রত্যেকেই খেই হারিয়েছেন উবাইদের আগ্রাসী পেসের সামনে। জয়ের লক্ষ্য মোটে ১৫৬ হলেও, সেটা পেরুতে বেশ সংগ্রামই করতে হচ্ছে জুনিয়র টাইগারদের। সেইসঙ্গে কমে আসছে হাতে থাকা ওভারের সংখ্যাও। 

যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে হলে কেবল জিতলেই হচ্ছে না, বরং পাকিস্তানের রানরেটও টপকাতে হবে বাংলাদেশকে। বোলাররা নিজেদের কাজটা ঠিকই সেরে রেখেছিলেন। তবে ব্যাটাররাই যেন খেই হারালেন। দলীয় শতরান পারের আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছে জুনিয়র টাইগাররা। সেমিতে যেতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ৬৬ রান। হাতে আছে আর ১৭ ওভার। সম্বল ৪ উইকেট। 

ক্রিজে আছেন দুই ব্যাটার মাহফুজুর রহমান রাব্বি এবং শিহাব জেমস। তাদের জন্য আপাতত কাজটা বেশ কঠিনই বটে। যদিও শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। জিশান আলম ৪টি চারে বাংলাদেশকে দ্রুত সূচনাই এনে দিয়েছিলেন। তবে উবাইদ শাহের লাফিয়ে ওঠা বলে উইকেটের পেছনে সাদ বেগকে ক্যাচ দেন তিনি। শিবলিও আউট হয়েছেন একইভাবে। ১১ বলে ৪ রান করেই সাজঘরে তিনি। 

রিজওয়ান আউট হয়েছেন আলী রাজার বলে। কাকতালীয়ভাবে সেটাও সাদ বেগকে ক্যাচ দিয়ে। ৫০ পেরুনোর আগেই নেই বাংলাদেশের ৩ উইকেট। প্রত্যেকেই পেস বোলারদের হাতেই নিজের উইকেট খুইয়েছেন। আহরার আমিন এবং আরিফুল ইসলাম কিছুটা আশা দেখালেও ৭৬ রানে ফিরতে হয় আহরারকে। উবাইদের বলে স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন হারুন আরশাদ। 

এক রান পরেই আরও একটি অসাধারণ ফিল্ডিং। এবার শামল হুসাইনের উড়ন্ত ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরেছেন মিডল অর্ডারের বড় ভরসা আরিফুল। শেখ পারভেজ জীবনও টিকতে পারেননি। ৯ বলে ২ রান করে পয়েন্টে মিনহাসকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। বোলার সেই উবাইদ শাহ। 

জেএ