তামিম-মুশফিকদের চ্যালেঞ্জ জানাতে শ্রীলঙ্কার দুই নতুন ‘অস্ত্র’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এটাই বাংলাদেশের শেষ সিরিজ। আগের ম্যাচগুলোতে পাওয়া হয়নি একটি পয়েন্টও। এই সিরিজটি তাই বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের ঠিক উপরেই আছে শ্রীলঙ্কা। ১ জয় আর ৩ ড্র নিয়ে তাদের পয়েন্ট ১২০।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খুব বেশি প্রভাবক না হলেও এই সিরিজটা দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। দুই নতুন মুখকে নিয়ে সিরিজের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। তারা হলেন প্রাভিন জয়াবিক্রমা ও দিলশান মাদুশঙ্কাকে।
বিজ্ঞাপন
এদের মধ্যে ২২ বছর বয়সী প্রাভিন এখন পর্যন্ত ১০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। এই স্পিনার ওভার প্রতি ৩.৯৫ গড়ে রান দিয়ে পেয়েছেন ৪০ উইকেট। লিস্ট এ ক্রিকেটে ৯ ম্যাচে ১৭ উইকেট পেয়েছেন। ৮টি-টোয়েন্টিতে ৪.৩৪ গড়ে নিয়েছেন ৯ উইকেট।
প্রাভিন অবশ্য সুযোগ পেয়েছেন অনেককে পেরিয়ে। লঙ্কানদের সাদা পোশাকে এখন মূল অস্ত্র লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। চোটের কারণে স্কোয়াডে নেই তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটের দুই পারফরমার দুভিন্দু তিলকরত্নে ও প্রভাথ জয়াসুরিয়া। কিন্তু দুভিন্দুও চোটে পড়েছেন, প্রভাথ পাশ করতে পারেননি ফিটনেস টেস্টে। শেষ পর্যন্ত তাই স্পিন বিভাগে প্রাভিনের ওপরই আস্থা রাখতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের বিপক্ষে সুযোগ পাওয়া আরেক নতুন মুখ দিলশান মাদুশঙ্কা। স্কোয়াডে থাকা পাঁচ পেসারের একজন তিনি। বাঁহাতি এই পেসার খেলেছেন দেশটির অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা অবশ্য খুব একটা নেই। ৩ ম্যাচ খেলে ওভার প্রতি ৩.২০ রান দিয়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
বোলিং খুব একটা শক্তিশালী নয় লঙ্কানদের। একমাত্র অভিজ্ঞ পেসার সুরাঙ্গা লাকমল ছাড়া কেউই তেমন বড়সড় ‘হুমকি’ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অবশ্য বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আনকোরা বোলারদের উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার নজির আছে অনেক। তেমন কিছু এবারও হলে, বাংলাদেশকে ডুবতে হবে আবারও।
ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ হলেও বাংলাদেশের বোলারদের জন্য কাজটা হবে বেশ কঠিন। করুনারত্নে-থিরিমান্নে-চান্দিমাল-ম্যাথিউস-ধনাঞ্জয়া-ডিকভেলাদের নিয়ে সাজানো লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইন আপ হুমকি হতে পারে যেকোনো দলের জন্যই। তাদের সঙ্গে ওশাদা ফার্নান্দো বেশ প্রতিভাবান, নবীন পাথুম নিসানকাকে ভাবা হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটে ‘বিগ থিং’।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের শেষ সিরিজে লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ভালো কিছু করতে হলে তাকিয়ে থাকতে হবে ব্যাটসম্যানদের দিকেই। তবে দিনশেষে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ক্রিকেটারদের মেলে ধরতে হবে নিজেদের। তাতেই মিলবে সাফল্য!
এমএইচ/জেএস