বিপিএলের পরপরই টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্তর অভিষেক। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাও খুব চেনা। সিলেটে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ওপর প্রত্যাশা কম ছিল না। কিন্তু জয়ের খুব কাছে গিয়েও হেরে যেতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। তবে হার ছাপিয়েও সেদিন আলোচনায় ছিল অভিষিক্ত জাকের আলি অনিকের দানবীয় ব্যাটিং। 

সেই হারের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা চলছে ম্যাচ শেষের দুদিন পরেও। জাকের বন্দনায় যোগ দিলেন জাতীয় দলের আরেক তারকা মেহেদি হাসান মিরাজও। গতকাল (মঙ্গলবার) এক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠানে গিয়ে মিরাজ বলেন, ‘অবশ্যই ভালো লাগত যদি ম্যাচটা জিততে পারতাম। (জাকের আলি) অনিক যদি ম্যাচটা জেতাতে পারত তাহলে আরও ভালো লাগত। যেহেতু কাছে যেয়ে হেরেছি। আমার কাছে একটা জিনিস মনে হয় আমরা যেহেতু ২০০ রান করতে পেরেছি আমরা যেভাবে খেলেছি এরকম যদি খেলতে পারি টি-টোয়েন্টিতে মনে হয় না আমরা বেশি ম্যাচ হারব। হয়ত দেখা যাবে এরপরের ম্যাচে আমরা জিতব। যদি এমন আমরা খেলতে পারি।'

মিরাজের কাছে এ সময় জাকের আলি সম্পর্কে জানতে চাইলে ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, 'অনিক অসাধারণ খেলেছে। ওর জন্য এটা দরকার ছিল। আমি মনে করি ও এটা ডিজার্ভ করে। কারণ সে অনেক পারফর্ম করেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে, বিপিএলে অনেক ভালো খেলেছে গত ২-৩ বছর। এ বছরও অনেক ভালো খেলেছে। আমি মনে করি সে যেটা ডিজার্ভ করে সেটাই ও খেলেছে।’  

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটা ওর ভবিষ্যতের জন্য ভালো হয়েছে। যেটা সবাই দেখেছে। এত চাপের ম্যাচ ছিল। ডেব্যু ম্যাচ ছিল অত সহজ ছিল না উইকেট পড়ে গিয়েছে। ওভারল আমি মনে করি কালকের ম্যাচটা অনেক ভালো ছিল। বিশেষ করে অনিক এবং রিয়াদ ভাই দুজনই অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে।’

সিরিজে এখনও বাকি আছে ২ ম্যাচ। মিরাজ ভাবছেন এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ, ‘হারলে অবশ্যই খারাপ লাগে। কাছে গিয়ে হারলে নিজেদের কাছে একটু স্বস্তি আসে। আমাদের ছোট ছোট যে ঘাটতিগুলো আছে এগুলা যদি উন্নত করতে পারি তাহলে আমাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে। আশা করি এগুলো নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট কাজ করছে কোন জায়গায় উন্নতি লাগবে তা নিয়ে কাজ করছে। আশা করি পরের ম্যাচে ভালো করতে পারব।’
 
এছাড়া বিপিএলে দেশিদের পারফরম্যান্স নিয়েও আশাবাদী মিরাজ। এই প্রসঙ্গে মিরাজ জানান, ‘দেশি প্লেয়াররা যদি ভালো খেলি তাহলে আমাদের দেশের ক্রিকেট উন্নতি করবে। আন্তর্জাতিকে গিয়ে আমরা চাপের সময়টা সামাল দিতে পারব। যে জিনিসটা অনিক করেছে। ২-৩ বছর পারফর্ম করেছে। ও একই পজিশনে খেলেছে। চাপ সামাল কীভাবে দিতে হয় সে অই জিনিসটা জানে। হয়ত সেটার একটা প্রতিচ্ছবি হয়েছে শেষ ম্যাচে। সে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। এটাই আসলে। হুট করেই আপনি একজনকে জাতীয় দলে ডেব্যু করিয়ে দিলেন। পরে তার কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করলেন। এটা কঠিন। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে অনেক নার্ভ বা অনেক ভালো ভালো জিনিসগুলো বেরিয়ে আসে।’

এসএইচ/জেএ