শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করছে বাংলাদেশ। তার মাঝেই ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন লঙ্কান অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তাকে দিয়েই টাইগারদের ইনিংসে আক্রমণের শুরু করেছিল লঙ্কানরা। প্রথম ওভারে ৫ রান দেওয়ার পর তৃতীয় ওভারেও ম্যাথিউস বল করতে এসেছিলেন। এক বল করার পরই তার পায়ে অস্বস্তি দেখা যায়। এরপর মাঠ ছেড়ে যান তিনি।

ওই সময় ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন, দেখে মনে হচ্ছে কুঁচকিতে টান পড়েছে এই লঙ্কান অলরাউন্ডারের। ম্যাথিউসের অসম্পন্ন ওভার করতে আসেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। সেই ওভারেই লঙ্কানরা প্রথম সাফল্য পায়। ধনাঞ্জয়ার প্রথম বলেই অফ স্টাম্পের দিকে সরে তুলে মারতে যান লিটন দাস। দাসুন শানাকার তালুবন্দী হওয়ার আগে তিনি ১১ বলে ৭ রান করেন। সেই শুরু, এরপর এলোমেলো বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তুসারা পেরেরাকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তার প্রথম বলটি ছিল ডট। আউট সুইংয়ে পরবর্তী তিন বলে তিনি নাস্তানাবুদ করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ ‍হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। প্রথম দুই বলে সুইং আর গতির মিশেলে শান্ত-হৃদয়কে বোল্ড করেছেন, পরেরটিতে একইভাবে মাহমুদউল্লাহকে ফেলেন লেগ বিফোরের ফাঁদে। রান তাড়ায় ব্যাট করতে থাকা টাইগারদের ব্যাটিং মুহূর্তেই এলেমেলো। ১৫ রানেই নেই বাংলাদেশের ৪ উইকেট।

মাঝে সৌম্য সরকার কিছুটা বিপর্যয় সামলানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু দুই ওভার পরই ফের তুসারা আক্রমণে ফিরতে শেষ তার উইকেট। ১০ বলে ১১ করে তিনি বোল্ড এই পেসারের ডেলিভারিতে। নিজের প্রথম ওভারে আক্রমণে এসে সফল হয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক হাসারাঙ্গাও। প্রথম ডেলিভারিতেই তিনি জাকের আলিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছেন। ৩২ রানেই ৬ উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে কুশল মেন্ডিসের ৮৬ রানে ভর করে ১৭৪ রানের বড় পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

এএইচএস