শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যেকার ওয়ানডে সিরিজের মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল শিশির। চট্টগ্রামে আগের দুই ম্যাচেই শিশিরের প্রভাব ছিল লক্ষ্যণীয়। প্রথম ম্যাচের পর লংকান ক্রিকেটার জানিথ লিয়ানাগে তো সরাসরিই ম্যাচ হারের জন্য দায়ী করেছেন শিশিরকে। 

কারণও ছিল বটে। শিশির থাকায় বল ঠিকভাবে গ্রিপই করতে পারেননি লঙ্কান বোলাররা। সঙ্গে ভেজা আউটফিল্ডে বাউন্ডারি এসেছে সহজে। সেদিন ৩২ বল বাকি থাকতেই শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৫৬ রান পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। পরের ম্যাচেও টসে জেতে শ্রীলঙ্কা, তবে এবারে নেয় ব্যাটিং। সেদিন তাওহিদ হৃদয়ের ৯৬ রানে ভর করে ২৮৬ পর্যন্ত যায় বাংলাদেশ। সেই স্কোরও টপকে যায় সফরকারীরা। শিশিরের প্রভাব অস্বীকারের উপায় কী? 

আগের দুটি ম্যাচ দিবা-রাত্রির হলেও চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টায়। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে তাই দুই দলের জন্যই থাকছে সমান সুযোগ। শিশিরের প্রভাব না থাকায় এই ম্যাচে বাড়তি ভাবনার তেমন অবকাশ নেই। কিন্তু এরমাঝেও আছে আরেক বড় ইস্যু।

এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১১টি দিনের ম্যাচে ৮টিতেই হেরেছে টসে জেতা দল। এর মধ্যে ৬ বারই হেরেছে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া দল। শিশির না থাকলেও চট্টগ্রামে তাই টসের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। 

তবে অধিনায়ক যখন নাজমুল হোসেন শান্ত। তখন টসভাগ্য বাংলাদেশ কতখানি নিজেদের পাশে পাবে তা নিয়ে আছে প্রশ্ন। শান্ত বিশ্বকাপে দুই ম্যাচ এবং বিশ্বকাপের বাইরে দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের  অধিনায়কত্ব করেছেন। এদের মাঝে বিশ্বকাপের ভারত ম্যাচেই কেবল টস জেতেন তিনি। এরপরের তিন ওয়ানডেতেই টসে হেরেছেন টাইগার দলপতি। 

চট্টগ্রামে আজ শান্ত টসভাগ্য পাশে পাবেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়। 

জেএ