টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল সবসময় পিছিয়ে সেটা বলার অবকাশ রাখে না। সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট তো গতকাল জানিয়েছিলেন টেস্ট সংস্কৃতিতেই ঢুকতে পারিনি বাংলাদেশ দল। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার নিয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুমিনুল হক এবং অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর কণ্ঠে একই সুর।

সিরিজ চলাকালীন সময়ে চতুর্থ দিনে সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল মুমিনুল বলেছিলেন, ‘আমি আজকেসহ ৬১টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছি। আমি অনেক খেলার কারণে হয়ত বুঝি কখন কী করতে হবে কীভাবে করতে হবে। কখনও হয়ত কাজে লাগাতে পারি কখনও পারি না। আমার কাছে মনে হয় যে, শুনতেও খারাপ লাগতে পারে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা এবং আন্তর্জাতিকের খেলা অনেক ভিন্ন।'

এমনকি ঘরোয়ার সাথে আন্তর্জাতিকের আকাশ পাতাল তফাত দাবি করে মুমিনুল আরো বলেন, 'আকাশ পাতাল তফাত। আপনারাও জানেন, আমিও জানি, সবাই জানে। আমি নিজেও তো জাতীয় লিগ খেলি আমি নিজেও কখনও চ্যালেঞ্জ ফেইস করি না। এখানে আন্তর্জাতিকে যেমন চাপ মোকাবেলা করতে হয়। আমি সততার সাথে কথাগুলো বলছি।’

এদিকে গতকাল ম্যাচ শেষে অধিনায়ক শান্তর কন্ঠেও একই সুর, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উইকেটটা যদি আরেকটু বেটার হয়, যেরকম কন্ডিশনে আমরা খেলব চ্যালেঞ্জগুলা যদি ফেইস করতে পারি তাহলে ভালো। আমার কাছে স্টিল মনে হয় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমরা যেরকম চ্যালেঞ্জ আমরা এখানে ফেইস করি অইরকম কোয়ালিটি ম্যাচ সেখানে আমরা খেলতে পারি না আমার কাছে মনে হয়। আমাদের প্লেয়ারদের যদি আরও ম্যাচ করে খেলতে পারি যে আন্তর্জাতিকের সাথে তাহলে অবশ্যই ভালো হবে। যত বেশি ম্যাচ খেলব কিছু না কিছু তো উন্নতির জায়গা থাকেই।’

তবে এমন সীমাবদ্ধতার মাঝেও ক্রিকেটারদেরই দায়িত্ব নিতে হবে বলে মন্তব্য দেশের ক্রিকেটের আরেক কিংবদন্তি আকরাম খানের। বর্তমানে বিসিবি পরিচালকের দায়িত্বে থাকা আকরাম বলেন, ‘ক্রিকেটাররা যখন সময় পায়, তখনই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে। তবে প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের উচিৎ সিরিয়াসলি খেলা। খেলোয়াড়দের খেলা মানে মাঠে তারা অনেক কিছু শিখতে পারে। মাঠে ভালো সময়ে দায়িত্ব নিতে পারছে না, তবুও পজিটিভ থাকা উচিৎ।’

এসএইচ/জেএ