শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে নিজের খেলা সবশেষ ৮ ইনিংসে মাত্র ৮৬ রান ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর। লঙ্কায় গিয়ে প্রথম টেস্টে মাঠে নেমেই বাজিমাত। অন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম শতকদের দেখা পান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। করেন ১৬৩ রান। এক ইনিংস দিয়েই শিকল ভাঙার বার্তা দেন শান্ত। তবে প্রত্যাশার চাপটা যে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটি পরের তিন ইনিংসেই বুঝিয়েছেন তিনি।

শান্তর মতো ব্যাট হাতে ধারাবাহিক নন লিটন দাসও। দীর্ঘ ৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার, সেখানে অর্জন হাতেগোনা। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে নিজের খেলা সবশেষ ১২ ইনিংসে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের নামের পাশে ছিল মোটে ২৭২ রান। শ্রীলঙ্কা সিরিজেও ধারাবাহিক নন তিনি। প্রথম টেস্টে ৫০ রানে আউট হওয়ার পর পরের টেস্টের দুই ইনিংসে ৮ ও ১৭ রান করেন।

শান্ত-লিটনদের নিয়ে সমর্থকদের দীর্ঘশ্বাস ক্রমেই বাড়ছে। এই দুই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে কি ভাবছে বাংলাদেশ দল? টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক অবশ্য সতীর্থদের পাশেই থাকলেন। বললেন, আরও সুযোগ দিতে হবে তাদের।

দ্বিতীয় টেস্ট হারের পর ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে এসে মুমিনুল জানান, ‘আমি যেটা অনুভব করি, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির চেয়ে টেস্ট ক্রিকেট সম্পূর্ণ আলাদা। টেস্টে ক্রিকেটে একটু সময় লাগে। একটু সুযোগ দিতে হবে। আমার মনে হয়, দলে নতুন কেউ এলে সঙ্গে সঙ্গে ফল পাওয়া কঠিন। টেস্টে অভিজ্ঞতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওরা যদি আরেকটু সময় পায়, গড়ে উঠবে।’

সঙ্গে যোগ করেন মুমিনুল, ‘ওরা নিজেরাই উপলব্ধি করছে। ওরা জানে কী করতে হবে, নিজেদের গেম প্ল্যান ওরা জানে। আশা করি, আপনারা যেটা ওদের নিয়ে চিন্তা করছেন সেটা সফল হবে।’

এদিকে শ্রীলঙ্কার তরুণ দুই স্পিনার প্রভিন জয়াবিক্রমা ও রমেশ মেন্ডিস বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের রীতিমতো নাকানিচুবানি খাইয়েছেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৭৮ রানে ১১ উইকেট নেন অভিষিক্ত জয়াবিক্রমা। এই প্রথম শ্রীলঙ্কার কোনো বোলার অভিষেক টেস্টে পেলেন ১০ উইকেট। মেন্ডিসের দখলে ৬ উইকেট। 

প্রতিপক্ষের এই দুই স্পিনার প্রসঙ্গে মুমিনুল জানান, ‘যত ভালো ব্যাটসম্যানই আসুক যদি তাকে ঠিক জায়গায় বল করতে না পারেন কিংবা যত ভালো বোলারই আসুক যদি বলের মান অনুযায়ী খেলতে না পারেন তাহলে দিন শেষে সে-ই সফল হবে, যেটা আমি অনুভব করি। ভিডিও অ্যানালিস্ট তো অবশ্যই সব ব্যাপারে সহায়তা করে। যারা নতুন আসে তাদের ক্ষেত্রে একটা বাড়তি সুবিধা থাকে। সেটা আমার ক্ষেত্রেও ছিল। নতুন যারা আসে তাদের ব্যাপারে জানার ঘাটতি থাকে।’

টিআইএস/এটি