করোনাভাইরাসের আতঙ্ক মাথায় নিয়ে গত ৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের লড়াই। তবে এই ভাইরাস থেকে নিস্তার পায়নি আইপিএল। টুর্নামেন্টের মাঝপথে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্রিকেটারের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এরপর নড়েচড়ে বসেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। আইপিএলের ভেন্যুর সংখ্যা কমিয়ে মুম্বাই কেন্দ্রিক করার কথা ভাবছে বিসিসিআই। ৩০ মে পর্দা নামার কথা থাকলেও পিছিয়ে যাচ্ছে টুর্নামেন্টের ফাইনাল।

করোনাভাইরাসের কারণে এবার ‘হোম এন্ড অ্যাওয়ে’ পদ্ধতি বাতিল করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে জানানো হয়, এবার আইপিএল হবে ৬টি ভেন্যুতে। যেখানে আহমেদাবাদ, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালুরু, দিল্লি, কলকাতা ও মুম্বাইয়ে হওয়ার কথা। প্রথম পর্বে মুম্বাই-চেন্নাইয়ের পর এখন আইপিএল হচ্ছে আহমেদাবাদ-দিল্লিতে। এরপর সূচিতে রয়েছে কলকাতা ও বেঙ্গালুরুর ভেন্যু। 

তবে তার আগেই আইপিএল ঘিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতার দুই ক্রিকেটার। এর জেরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে কেকেআরের ম্যাচটি বাতিল করতে হয়েছে। চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরেও করোনা হানা দিয়েছে। এমন কী দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের মাঠকর্মীরাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এমন পরিস্থিতিতে নির্বিঘ্নে লিগ চালাতে বিকল্প পথে হাঁটছে বিসিসিআই। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এক শহরে, একই হোটেলে, কঠোর জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে ৮ দলকে রেখে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ আয়োজনের ভাবনা আয়োজকদের। তবে পূর্বের সূচিতে আসবে পরিবর্তিন। ৩০ মে ফাইনাল হওয়ার কথা থাকলেও তা হতে পারে জুনের শুরুতে। বিসিসিআই চাইছে, খেলাগুলো সব মুম্বাইতে নিতে। এই শহরে তিনটি স্টেডিয়াম আছে। ওয়াংখেড়, ব্র্যাবোন ও ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে বাকিসব ম্যাচ আয়োজনের চিন্তা তাদের। 

টিআইএস