বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন

মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস পৃথিবীকে নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে। দ্য নিউ নরমালে বেগ পেতে হচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনকেও। শুধু মাঠের লড়াই নয়, একটি সিরিজ বা টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়তে হচ্ছে আয়োজক সংস্থাকে। এবার বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা সিরিজ তেমনই এক চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে বিসিবিকে। টিভি সম্প্রচার নিয়ে জটিলতা থাকলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিকল্প ভেবে রেখেছে।

এ প্রসঙ্গে আজ (শনিবার) মিরপুরে গণমাধ্যমকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘এটা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ। তারপরও আপনারা জানেন যে এই ক্ষেত্রে সরকারের নির্দিষ্ট প্রটোকল আছে। আমরা চেষ্টা করছি এই প্রটোকলের মধ্যে থেকে যদি কোনো ক্রু আসার দরকার হয়, সেক্ষেত্রে তাদের আনা যায় কি না।’

সুজন আরও যোগ করেন, ‘এছাড়া আমরা অন্যান্য যে অপশনগুলো আছে, সেগুলো চেষ্টা করছি। বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় যে সমস্ত ক্রিকেট ইভেন্ট আছে। চেষ্টা রয়েছে, প্রয়োজনে সেখান থেকে ক্রু এনে খেলাগুলো চালাবো।’

বিপত্তিটা মূলত তৈরি হয়েছে টেলিভিশন সম্প্রচার নিয়ে। কারণ, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সিরিজ সম্প্রচার যে চ্যানেলই করুক না কেন, সকল টিভি তথা মিডিয়া ক্রু হলো ভারতীয়। ক্যামেরা ক্রু থেকে শুরু করে সব টেকনিক্যাল ক্রু হলেন ভারতীয়। বর্তমানে ভারতের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ সরকার। এমন অবস্থায় ভারত থেকে কেউ বাংলাদেশে আসলে তাকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

এদিকে এখনো লঙ্কা সিরিজের টিভি স্বত্ব বিক্রি করেনি বিসিবি। সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ২৩ মে। তার আগে টিভি স্বত্ব বিক্রির পর ভারত থেকে ক্রু এনে টেলিভিশন সম্প্রচার রীতিমত চ্যালেঞ্জই নয়, অসম্ভবও বটে। তবে কি সিরিজ পেছানোর কোনো ভাবনা আছে বোর্ডের?

সুজন বলেন, ‘সিরিজ রিসিডিউল বা এই ধরনের কোনো সম্ভাবনা আমরা এখন দেখছি না। যেটা বলেছি, কিছুটা চ্যালেঞ্জ তো আছেই ক্রুদের আনা। সে জন্য আমরা অন্য সোর্স ব্যবহার করে এসব ঝামেলা যাতে এড়ানো যায়। সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’

টিআইএস/এটি