সুরক্ষা বলয় তৈরিতে শ্রীলঙ্কাকে অনুসরণ করছে বাংলাদেশ
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এবার শ্রীলঙ্কা আসছে বাংলাদেশে। আগামীকাল (রোববার) সকালে ঢাকায় পা রাখবে সফরকারীরা। বাংলাদেশে পৌঁছে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি পাঁচতারকা হোটেলে উঠবে তারা। কালই প্রথম করোনা পরীক্ষার নমুনা দিবে লঙ্কানরা। তিনদিনের কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে দুবার পিসিআর টেস্ট হবে কুশল পেরেরাদের। এই সফরে সর্বমোট চারবার করোনা পরীক্ষা হবে লঙ্কানদের।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ম্যাচ খেলতে শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিল টাইগাররা। সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ দলের জন্য যে প্রটোকল দিয়েছিল, সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের ক্ষেত্রেও একই প্রটোকল দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এদেশে এসে চারবার করোনা টেস্ট করানোর পাশাপাশি তিনদিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবে হবে তাদের। এমনকি করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ নিয়ে অনুশীলনে নামলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো নেট বোলার পাবে না সফরকারীরা।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা পোস্টকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে এসে সর্বমোট চারবার করোনা পরীক্ষা দিতে হবে শ্রীলঙ্কা দলকে। প্রথম পরীক্ষা হবে ১৬ মে, যেদিন তারা আসবে। বিমানবন্দরে ঝুঁকি থাকায় নমুনা নেওয়া হবে হোটেলে উঠার পর। মূলত শ্রীলঙ্কায় যে রকম প্রক্রিয়া ছিল সে পথেই হাঁটব আমরা।’
দেবাশিষ সঙ্গে যোগ করেন, ‘১৬ তারিখ প্রথম পরীক্ষার পর ১৮ তারিখ দ্বিতীয় টেস্ট। এই দুই পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসলে তিনদিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ করে তারা অনুশীলনে নামতে পারবে আগামী ১৯ তারিখ। এরপর আরো দুটি টেস্ট হবে আগামী ২২ ও ২৭ তারিখ।’
বিজ্ঞাপন
শ্রীলঙ্কায় গিয়ে তিনদিনের রুম কোয়ারেন্টাইনে ছিল বাংলাদেশ দল। দুবার নেগেটিভ ফল পাওয়ার পর অনুশীলনে নামে টাইগাররা। একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচেও স্বাগতিকদের থেকে সাহায্য মেলেনি। নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে ম্যাচটি শেষ করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শ্রীলঙ্কারও একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ১৮ সদস্যের স্কোয়াড নিয়ে আসলেও নিজেদের মধ্যে ভাগ খেলতে হবে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে আগামী ২৩ তারিখ। দ্বিতীয় ম্যাচটি ২৫ মে এবং শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ২৮ মে। দিবারাত্রির তিনটি ম্যাচই হবে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
টিআইএস