২০০ ক্রীড়াবিদকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সাহায্য
গত বছর করোনাকালীন সময়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দুস্থ-অসহায় ক্রীড়াবিদদের অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছে। ক্রীড়াবিদদের বিভিন্ন সহায়তা ছাড়াও সংগঠকদেরও সাহায্য করেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ সংস্থা। এবার করোনার দ্বিতীয় ধাপে একটু ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ক্রীড়া পরিদপ্তর ও বিকেএসপির ক্রীড়াবিদদের সাহায্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তাদের হাতে চেক তুলে দেন।
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপ দলের সবাইকে ৭ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। একই অঙ্কের আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন বিকেএসপির অনেক শিক্ষার্থী। এই দুই খাত মিলিয়ে ২০০ জন ক্রীড়াবিদ এই সহায়তা পেয়েছেন। সব মিলিয়ে ১৪ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন
ক্রীড়া পরিদপ্তরের অধীনস্ত ক্রীড়াবিদ ও বিকেএসপির শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার কারণ সম্পর্কে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আমরা ক্রীড়াঙ্গনের অনেকের পাশেই দাড়িয়েছিলাম। বিকেএসপি ও ক্রীড়া পরিদপ্তরের অধীনস্ত ক্রীড়াবিদদের জন্য সেভাবে সাহায্য করতে পারিনি। এজন্য এবার তাদেরকে দেয়া হলো।’
বিকেএসপিতে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে সব মিলিয়ে প্রায় কয়েক-শ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। তাদের সকলের পারিবারিক সামর্থ্য সমান নয়। আর্থিক সমস্যায় থাকা শিক্ষার্থীদের তালিকা করে বিকেএসপি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। সেই তালিকার ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন ক্রীড়া ও প্রতিমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল বিভাগ, রানার্স আপ চট্টগ্রাম বিভাগ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন খুলনা বিভাগ ও রানার্স আপ ঢাকা বিভাগ। প্রতি দলে সর্বমোট খেলোয়াড়, কোচ মিলিয়ে ছিলেন ২০ জন। চার দলের আশি জনের মধ্যে এক জেলায় কোচ ছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার এজন্য তিনি এই সাহায্য নেননি।
বিজ্ঞাপন
এজেড/এটি/টিআইএস