অধিনায়ক মিঠুন কী আন্ডারেটেড
সদ্য সমাপ্ত বিপিএল শেষ হয়েছে গেল শুক্রবার। তবে রেশটা এখনো রয়েছে, কেননা চ্যাম্পিয়ন দল ফরচুন বরিশাল আজ ট্রফি ট্যুরে গেছে নিজ বিভাগে। এদিকে ফাইনাল হারের পর দিন গতকালই টিম হোটেল ছেড়েছেন রানার্স আপ দল চিটাগং কিংসের ক্রিকেটাররাও। দলটি ফাইনাল হারলেও শেষ ওভার পর্যন্ত চালিয়ে গিয়েছিল লড়াই।
দলের অধিনাযক মোহাম্মদ মিঠুন ব্যাট হাতে রান করেছেন ২৬৮ সবমিলিয়ে। তবে উইকেটের পেছন থেকে চৌকসভাবেই করেছেন দলকে পরিচালনা। ম্যাচ হারলেও তার নেতৃত্বগুণ ছিল টুর্নামেন্টজুড়েই চোখে পড়ার মতো। ফাইনাল জিততে না পারার কষ্ট মিঠুনের কন্ঠেও ধরা দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে মিঠুন বলেন, 'আসলে এটা ভাগ্যে ছিল না এটাই বলব আর কি। চেষ্টা করেছি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার। যতটুকু অভিজ্ঞতা ছিল সেটুক কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। ফাইনাল খেলেছি আলাদা কোন ম্যাজিক বলবো না টিম গেম আর কি।'
বিপিএলের দশম আসরেও সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে শেষ দিকে অধিনায়কত্ব পেয়ে নজর কেড়েছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলেও দলকে তুলেছেন ফাইনালে। এত কিছুর পরেও মিঠুনকে নিয়ে খুব একটা আলোচনা নেই দর্শক-সমর্থকদের মধ্যে। এ কারণেই প্রশ্ন জাগে অধিনায়ক মিঠুন কী একটা আন্ডারেটেড।
বিজ্ঞাপন
জবাবে চিটাগং অধিনায়ক বললেন, 'আন্ডারেটেড বা ওভারেটেড কোনোটাতে আমি বিশ্বাস করি না। আমি চিন্তাও করি না জিনিসটা নিয়ে। সম্মান দেওয়ার মালিক আল্লাহ উনি আপনাকে যখন ইচ্ছা সম্মানিত করতে পারবেন বা নিচে নামিয়ে দিতে পারবেন। তো কে কি বললো এটা নিয়ে আসলে আমি চিন্তাও করি না। আর আন্ডারেটেডকে আপনি যতই ওভারেটেড করেন না কেন তার থেকে সেই সার্ভিস কিন্তু আপনি পাবেন না। তো এটা নিয়ে আসলে আমি এত চিন্তা করি না কখনো।'
পরে নিজের ক্যারিয়ারে করা অধিনায়কত্ব নিয়ে মিঠুন বললেন, 'আমার প্রথম অধিনায়কত্ব ছিল এসএ গেমসের মাধ্যমে। সেবার আমরা সোনা জিতেছিলাম। এরপর প্রিমিয়ার লিগে অধিনায়কত্ব করেছিলাম কাজী ট্যাঙ্কের হয়ে। বলতে পারেন যে ২০ বছর বয়স থেকেই আমি টপ লেভেলে অধিনায়কত্ব করা শুরু করেছি। তবে মাঝে কিছু বছর গ্যাপ ছিল আমি নিজ থেকেই সরে গিয়েছিলাম। অফার সবসময় ছিল কিন্তু আমি আসলে সরে গিয়েছিলাম তারপরও অনেক সময় চাইলেও সরে যাওয়া যায় না, দায়িত্ব চলে আসে।'
চিটাগং দল ড্রাফট শুরুর আগে সাকিব আল হাসান, মঈন আলি, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসদের দলে ভিড়িয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে দলের হয়ে যোগ দেননি তারা। মিঠুন বললেন, 'এরা থাকলে তো অবশ্যই দলের চেহারা ভালো হতো। আমাদের দল অনুযায়ী যে পারফরম্যান্স করছি এটা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। যে কোনো দলের সাথে কিন্তু আমাদের আন্ডারডগ হিসেবে ভাবা হতো কিন্তু আমরা সে সব কাটিয়ে ফাইনালে এসেছি।'
ফাইনালে অবশ্য আলিস আল ইসলামের অভাব পুড়িয়েছে দলকে দাবি মিঠুনের, 'আলিস যেভাবে বল করেছে আমাদের সার্ভিসটা দিয়েছে অবিশ্বাস্য। ও বিপক্ষ দলের জন্য একটা থ্রেট আমি বলব। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মিস্ট্রি স্পিনারদের কতটুকু কদর সেটা কিন্তু দেখতেছেন। আলিস আমাদের বোলিং লাইন আপের ট্রাম কার্ড ছিল। তবে দিন শেষে একটা ভাগ্য লাগে। ফাইনালটা খেলতে পারলো না খুবই দুঃখজনক বলবো। শকিং নিউজ ছিল বলতে পারেন দলের জন্য।'
এসএইচ/এফআই