হারতে হারতে জিতল তামিমরা
অভিজ্ঞতা বা শক্তিমত্তা, সবদিক বিবেচনায় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের থেকে ঢের এগিয়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) তামিম ইকবাল, মুস্তাফিজুর রহমান সহ একাধিক জাতীয় দলের ক্রিকেটার খেলছেন প্রাইম ব্যাংকের হয়ে। অন্যদিকে শাইনপুকুরে নেই কোনও জাতীয় দলের ক্রিকেটার। তরুণ ক্রিকেটারে ঠাঁসা দলটি। পরিচিত মুখের মধ্যে আছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কয়েকজন ক্রিকেটার। তবুও মাঠের লড়াইয়ে প্রাইম ব্যাংককে ছেড়ে কথা বলেনি শাইনপুকুর।
আজ (বুধবার) ডিপিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে শাইনপুকুরের মুখোমুখি হয় প্রাইম ব্যাংক। মিরপুরে এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ১১৯ রান তোলে শাইনপুকুর। ১২০ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ম্যাচটি প্রায় হেরেই বসেছিল তামিমরা। পরে নাঈম হাসান ও রাকিবুল হাসানের ব্যাটে শেষ রক্ষা হয়েছে প্রাইম ব্যাংকের। শেষপর্যন্ত ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে সরওয়ার ইমরানের শিষ্যরা।
বিজ্ঞাপন
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের তৃতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্পিনারদের দাপটে বেশিদূর এগোয়নি শাইনপুকুরের রান। ১১৯ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন। দলীয় ১৯ রানে ওপেনার সাব্বির হোসেনকে (১৫) হারানোর পর পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩৮ রানের বেশি যোগ হয়নি স্কোরবোর্ডে।
রবিউল ইসলাম রবি কিছুটা হাত খুলে খেলার চেষ্টা করলেও ১৮ রান করে আউট হন মনির হোসেনের বল। এতে প্রথম ১০ ওভারে সংগ্রহ ৫৬ রান। তৌহিদ হৃদয়ও (২৯) প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। শেষ দিকে রবিউল হক ১৩ বলে ১৬ রান করলে শাইনপুকুরের রান কোনোমতে একশ পেরিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
১২০ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরুতেই ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে হারায় প্রাইম ব্যাংক। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ৫ রান করে আউট হন বিজয়। দলীয় ৯ রানে বিজয়কে হারানোর পর রনি তালুকদারকে নিয়ে অধিনায়ক তামিম ইকবাল সহজ জয়ের পথেই হাঁটছিলেন। ২২ গজে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করছিলেন তারা। ৭ ওভার ৩ বলে দলের রান ১ উইকেটে ৬১। পরের বলে থার্ড ম্যান অঞ্চল থেকে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউটে কাটা পড়েন তামিম। ২৭ বলে ৩২ রান করে সাজঘরের পথ ধরলে ভাঙে রনির সাথে ৫২ রানে জুটি।
এরপর নিজেদের খামখেয়ালি এবং হাসান মুরাদ ও তানবীর ইসলামের স্পিন বিষে নীল প্রাইম ব্যাংক। তামিমের পর একই ভুল করে রান আউট হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুনও। অলক কাপালি, নাহিদুলরা ব্যর্থ হলে ১৯ বলের ব্যবধানে গুরুত্বপূর্ণ ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে প্রাইম ব্যাংক। ১৫ বলে ২৬ রান করে ফেরেন রনি তালুকদারও। এতে বিপত্তিতে পড়ে প্রাইম ব্যাংক।
৮৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কা গাঢ় হলে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন রাকিবুল আর নাঈম। দুজনের অবিচ্ছেদ্য ৩১ রানের পার্টনারশিপে রাকিবুল ৩৪ বলে অপরাজিত থাকেন ১৮ রানে। ১৬ বলে ১৮ রান করে দলকে ৩ উইকেটের জয়ের স্বাদ এনে দেন নাঈম হাসান। এর আগে বল হাতেও ৩ উইকেট নেন তিনি।
টিআইএস