প্রায় জেতা ম্যাচটা হেরে গেল ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব। শেষটাতে এসে দলটি যেভাবে খেলল তাতে প্রশ্ন উঠেছে জেতার তাগিদ কি ছিল? ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ম্যাচে জিততে শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৬ রান। তবে সুজন হালদারের বলে রাইয়ান রহমান ও প্রীতম কুমার নিতে পারেন মাত্র ৩ রান। 

শেষ বলে ২ রান করলে টাই। এক বলে তিন রান করলে জয়। কিন্তু শেষ বলে শট না খেলে ছেড়েই দিলেন প্রিতম কুমার। বিস্মিত না হয়ে পারা যায়? সুজন হাওলাদারের ডেলিভারি অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাট না চালিয়ে হাতের ইশারায় প্রিতম চাইলেন ওয়াইড! অবশ্য আরও আগেই তো জেতার কথা ছিল তাদের। শেষ দুই ওভারে ওল্ড ডিওএইচএস জিততে দরকার ছিল ১৩ রান। উইকেট ৯টি। এমন ম্যাচেও কি না দল হারল।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির ম্যাচটি ব্রাদার্স ইউনিয়ন জিতে নেয় ২ রানে। সাভারের বিকেএসপির এই ম্যাচ দেখে চলছে ফিসফাস? এমন ম্যাচ হারল কী করে ডিওএইচএস। ম্যাচটা কি তারা ছেড়ে দিল? 

এমন প্রশ্নের মুখে উত্তরে সোমবার ওল্ড ডিওএইচএস ম্যানেজার তানভীর আহমেদ উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। ঢাকা পোস্টকে বললেন, ‘ব্রাদার্সকে কেন ম্যাচ ছাড়ব? ম্যাচ ছাড়ার প্রশ্ন কেন আসছে? ম্যাচে আমাদের দুর্ভাগ্য বলতে হবে। খুব কাছে গিয়েও জয় পাওয়া হয়নি। শেষ বলটা তো ওয়াইড ছিল, ওটা ওয়াইড দিলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত।’

বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ২০১৯-২০ মৌসুমে স্বল্প বাজাটের দল গড়েছে ওল্ড ডিওএইচএস। প্রায় একই বাজেটের দল হলেও অভিজ্ঞতার বিচারে তারুণ্যনির্ভর ওল্ড ডিওএইচএস থেকে অভিজ্ঞ ব্রাদার্স ইউনিয়ন। সে অভিজ্ঞতায় মাঠের লড়াইয়ে কাজে লাগালেন মিজানুর রহমান, জুনায়েদ সিদ্দীকীরা।

দুই দলের ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে ব্রাদার্স। দলের হয়ে চার নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন মাইশুকুর রহমান। ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজান সমান ৪টি করে চার ও ছয়ের মারে। সঙ্গে অধিনায়ক মিজানুর রহমানের ২১ ও রাহাতুল ফেরদৌস ২৬ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৩৯ রানের পুঁজি পায় ব্রাদার্স। ওল্ড ডিওএইচএসের হয়ে ২টি উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম। মোহাম্মদ শান্ত ও মোহাইমিনুল খান নেন ১ টি করে উইকেট।

১৪০ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৫৭ রান পেয়ে যায় ওল্ড ডিওএইচএস। ৩১ বলে ২টি চার ও ১টি ছয়ে ৩৩ রান করে আউট হন রাকিন। তবে ফিফটি তুলে নেন আনিসুল ইসলাম ইমন। তবুও জয়ের স্বাদ পাওয়া হয়নি তাদের। ৫০ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছয়ের মারে ৬৪ রান করে আউট হন ইমন। 

পরে বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল হাসান জয় ৩৩ রান করে রান আউট হলে শেষদিকের আর কোনও ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিতে পারেননি। অন্যভাবে বলা যায় প্রতিপক্ষকে জয় উপহার দেয় ওল্ড ডিওএইচএস।

গত বৃহস্পতিবার আবাহনীর বিপক্ষে ওল্ড ডিওএইচএসের ম্যাচ নিয়েও ছিল সন্দেহ। যেখানে ১৯ ওভারের ম্যাচে ১৩৬ রান জবাবে তারা পুরো ওভার খেলে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে করে ১১৩ রান। তখনো জয়ের ইচ্ছে যেন ছিল না তাদের!

টিআইএস/এটি/এমএইচ