গেল মাসের শুরুতে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব ছাড়ার গুঞ্জন ছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে (২৮ জুন) সেই গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দেন শান্ত। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর টেস্ট অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। 

এরপর থেকে আলোচনা ও প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে– টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক কে হচ্ছেন। সম্প্রতি তাইজুল ইসলামও অধিনায়ক হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাসের নামই শোনা যাচ্ছে বেশি। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন মনে করেন– দুই বছরের জন্য টেস্ট অধিনায়ককে দায়িত্ব দিলে ভালো হয়।

এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাশার বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, আমি যাকে অধিনায়কত্ব দেবো, তাকে অন্তত দুই বছরের জন্য দেবো। সুতরাং যাকেই দিই সেটা একটু চিন্তা-ভাবনা করে দেবো। অধিনায়কত্ব কিন্তু পরীক্ষার জায়গা নয়। অধিনায়ক হওয়ার পর একটু লম্বা সময় পেলে সে দলটাকে নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারবে। দলের সবারও জানা দরকার সে আমাদের অধিনায়ক। অল্প সময়ের জন্য যাকেই অধিনায়কত্ব দিই সেটা ভালো হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে আমাদের বেশ কয়েকজনই আছে। মিরাজ একজন, লিটন একজন—তাইজুলও নিয়মিত টেস্ট খেলে। আমার মনে হয় যাকেই অধিনায়কত্ব দিই খুব বেশি পার্থক্য হবে না। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে–ই অধিনায়কত্ব পাবে, তাকে যেন লম্বা সময়ের জন্য দেওয়া হয়। চিন্তা-ভাবনাটা যেন এমন থাকে। এমন না যে কাউকে আনলাম, তারপর দেখলাম—ভালো না করলে আবার পরিবর্তন করে দিলাম। আমরা যেন এভাবে না ভাবি।’

প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান বলছে, টেস্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক শান্ত। ১৪ টেস্টে চার জয়, এক ড্র ও নয় হারে তার সাফল্য ২৮.৫৭ শতাংশ। তার পরই অবস্থান সাকিব আল হাসানের। ১৯ টেস্টে তার অধীনে বাংলাদেশ চার জয় ও ১৫টিতে হেরেছে। সাফল্যের হার ২১.০৫ শতাংশ। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম ২০.৫৮ শতাংশ ম্যাচে জিতেছেন (৩৪ টেস্টে সাত জয়, নয় ড্র ও ১৮ হার)।

এসএইচ/এএইচএস