ব্যাট হাতে সময়টা তার একদমই ভালো যাচ্ছে না। চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ছয় ম্যাচের দুটিতেই আউট হয়েছেন শূন্য রানে। ফিফটি করতে পারেননি একটিতেও। এবার মাঠেই মেজাজ হারালেন সাকিব আল হাসান। তবে ব্যাটিং নয়, বোলিংয়ের সময়। 

আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডানের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন সাকিব। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে এসে মেজাজ হারিয়ে স্টাম্প ভাঙেন তিনি।  অনেকদিন ধরেই সাকিবের মানসিক অস্বস্তি নিয়ে কথা চলছিল। 

ঐতিহ্যবাহী দুই দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেডের মধ্যকার দ্বৈরথ এখন শুধুই কাগজে-কলমে। নিজেদের সুদিন বেশ আগেই পেছনে ফেলে এসেছে মোহামেডান। কী ফুটবল, কী ক্রিকেট! সবখানেই মলিন সাদাকালোরা। তবে দুই দলের মধ্যকার লড়াইটা যখন মর্যাদার, তখন পরিসংখ্যান আর শক্তিমত্তা পাল্লায় তোলার উপায় নেই। সেটি আজ মাঠের লড়াইয়ে স্পষ্ট।

এদিন শুরু থেকে বেশ আগ্রাসী দেখা গেল সাকিবকে। ব্যাট হাতে নিজের সর্বোচ্চটা নিঙড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। তার ব্যাটে চেপেই (৩৭ রান) আবাহনীকে ১৪৬ রানের লক্ষ্য দেয় মোহামেডান। সেই টার্গেট টপকাতে নেমে বিপাকে পড়ে আবাহনী। শুরুতেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট।

সাকিবের মেজাজ হারানোর প্রথম ঘটনা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে। ওভারের শেষ বলে মুশফিকের বিপক্ষে লেগ বিফোরের আবেদন করেন মোহামেডান অধিনায়ক। সেটি নাকচ করে দেন আম্পায়ার ইমরান পারভেজ। এতেই ক্ষিপ্ত হন সাকিব। লাথি দিয়ে ভাঙেন স্টাম্প। এতে উত্তেজনা ছড়াল ম্যাচে। ভিডিও ফুটেজে অবশ্য স্পষ্ট। আউট ছিলেন মুশফিক।

ঘটনা সেখানেই থামেনি। আরও বড় ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে। পঞ্চম বলের পর বৃষ্টি নামলে আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নেন খেলা বন্ধ করার। তাদের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন সাকিব। এক পর্যায়ে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করতে করতে স্টাম্প তুলে আছাড় মারেন তিনি। 
 
সাকিবের এমন ক্ষোভের কারণ স্পষ্ট নয়। তবে খেলার ৬ ওভার পূর্ণ হতে বাকি ছিল মাত্র এক বল। হতে পারে সাকিব ধরে নিয়েছিলেন, ৬ ওভার পূর্ণ হলে বৃষ্টি আইনে ম্যাচে ফল আসবে। আর পূর্ণ না হলে পরিত্যাক্ত হবে। কিন্তু দিনশেষে ওই এক বল ছাড়াই ম্যাচে ফল এসেছে এবং মোহামেডান জিতেছে। আবাহনী শুরুতেই ৩ উইকেট হারানোয় বৃষ্টি আইনে জেতার কথা ছিল মোহামেডানেরই।

টিআইএস/এমএইচ/জেএস