আরও এক ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরালেন ট্রেন্ট বোল্ট। ইংল্যান্ড পেল এ শতাব্দীতে নিজেদের ষষ্ঠ সর্বনিম্ন রানের লজ্জা/ক্রিকইনফো

ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৩০৩ (লরেন্স ৮১*, বার্নস ৮১; বোল্ট ৪-৮৫), নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৩৮৮ (ইয়াং ৮২, কনওয়ে ৮০, টেলর ৮০; ব্রড ৪-৪৮)
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস ১২২ (উড ২৯; ওয়াগনার ৩-১৮, হেনরি ৩-৩৬), নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস ৪১-২ (ল্যাথাম ২৩*)
ফলাফল- নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ- নিউজিল্যান্ড ১-০ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচসেরা- ম্যাট হেনরি।
সিরিজসেরা- ডেভন কনওয়ে (নিউজিল্যান্ড), রোরি বার্নস (ইংল্যান্ড)

মুখে মুখে নিউজিল্যান্ড যতই বলুক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা 'মোটেও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি' নয়, আদতে কি তাই? আর মাত্র পাঁচ দিন পরই শুরু হতে যাওয়া সেই ফাইনালে কি একটুও চোখ থাকবে না ব্ল্যাকক্যাপদের? সেটা হোক না হোক ফাইনালিস্ট ভারতের চোখ নিশ্চিতভাবেই আছে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের এই সিরিজে। সেই সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে ৮ উইকেটের দারুণ এক জয় পেয়েছে কিউইরা। ভারতকে হুঁশিয়ারি জানানোর কাজটাও হয়ে গেছে তাতে।

জয়টা আগের দিনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। আজ চতুর্থ দিনে তার আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলা হলো কেবল। দিনের প্রথম বলে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হয়ে ফিরলেন শেষ ব্যাটসম্যান ওলি স্টোনস। এরপর চল্লিশ রানের মামুলি লক্ষ্যটা নিউজিল্যান্ড পেরিয়ে গেল অনায়াসেই।

সিরিজের প্রথম টেস্টটা শেষ হয়েছিল সাম্যাবস্থায়। শেষ টেস্টের নিয়তি অবশ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের পক্ষেই। প্রথম ইনিংসে প্রায় সাম্যাবস্থায় শেষ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেই কিউই বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ইংলিশরা। ম্যাট হেনরি আর নিল ওয়াগনার মিলে শিকার করলেন তিন উইকেট, পার্শ্বচরিত্র হয়ে সমর্থন এল ট্রেন্ট বোল্ট আর আজাজ পাটেলের কাছ থেকে। তাতেই ১২২ রানে শেষ ইংলিশরা।

বাকি পথটা কনওয়ে পাড়ি দিয়েছেন ধীর পায়ে, দেখে শুনে। তাতে ৩৫ বছর পর টেস্টে নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে ইংলিশদের বিপক্ষে।