ভারতীয় সরকারের নিয়মের কারণে আচমকা বিদায় নিতে হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পন্সর ড্রিম এলেভেনকে। এরপর বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে নতুন করে স্পন্সর হওয়ার দরপত্র আহবানও করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বেশ সাবধানী পা ফেলছে ক্রিকেট বোর্ড। সে কারণে কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে না তার তালিকা এবং সময়সূচিও ঠিক করা হয়েছে। সবমিলিয়ে এশিয়া কাপের আগে প্রধান স্পন্সর পাওয়ার সম্ভাবনা কম–ই!

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, নতুন স্পন্সর নিয়ে বিসিসিআই তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয়। আজ (মঙ্গলবার) থেকে যেকোনো স্বনামধন্য সংস্থা দরপত্র পাঠাতে পারে। সেই সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর ভেতরই ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠে পর্দা উঠবে এশিয়া কাপের। কারা দরপত্র পাঠাবে, তার একটা নির্দেশিকাও তৈরি করা হয়েছে। অনলাইন গেমিং, জুয়া কিংবা এই সংশ্লিষ্ট কাজকর্মের সঙ্গে কোনো সংস্থা দরপত্র পাঠাতে পারবে না।

সম্প্রতি নতুন ‘অনলাইন গেমিং বিল’ পাশ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। যে কারণে অনলাইনে টাকার বিনিময়ে খেলা হয় এমন সব ধরনের অ্যাপকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভারতের জার্সি স্পন্সর ‘ড্রিম ১১’ ওই ধরনেরই অ্যাপ। ফলে তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পথে হাঁটতে হলো বিসিসিআইকে। ভবিষ্যতেও এই ধরনের সংস্থার সঙ্গে আর কখনো চুক্তি করবে না বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া। 

১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের আবেদনের সময় দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এশিয়া কাপে ভারতীয় দলকে খেলতে হবে স্পন্সর ছাড়াই। তবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরুর আগে নতুন স্পন্সর চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে। বিসিসিআই কর্মকর্তাদের আশা, আগামী তিন বছরে প্রধান স্পন্সরের কাছ থেকে অন্তত ৪৫০ কোটি রুপি পাওয়া যাবে। ভারতের আগ্রহী সংস্থাগুলো আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হলে আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অফেরতযোগ্য ৫ লাখ রুপি দিতে হবে। বিদেশি সংস্থাকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে ৫৬৭৫ ডলারের বিনিময়ে।

স্পন্সর হওয়ার ক্ষেত্রে ১০ ধরনের সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিসিসিআই। সংস্থাগুলো হচ্ছে– ভারতে বা বিশ্বের কোথাও পরিচালিত অনলাইন গেমিং বা জুয়ার সঙ্গে জড়িত সংস্থা, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্রিপ্টো ট্রেডিং বা ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ বা ক্রিপ্টো টোকেন বা ক্রিপ্টো কারেন্সি বা ওই ধরনের কোনও ব্যবসায় জড়িত সংস্থা, মদ প্রস্তুতকারী সংস্থা, তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা, পর্নোগ্রাফি প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা, ব্যাংক–আর্থিক পরিষেবা ও নন-ব্যাংকিং সংস্থা, অ্যালকোহলহীন ঠান্ডা পানীয় সংস্থা, পাখা-মিক্সার গ্রাইন্ডার ও তালা প্রস্তুতকারক সংস্থা ও বীমা সংস্থা।

এএইচএস