এশিয়া কাপের ইতিহাসের প্রথমবার ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের মাঝে তুমুল উন্মাদনা বিরাজ করছে। দুই দলের গ্রুপপর্ব ও সুপার ফোরের ম্যাচে দুবাই স্টেডিয়ামের গ্যালারি পূর্ণ না হলেও, ফাইনালে ২৮ হাজার আসনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ফলে উত্তেজনা ও রোমাঞ্চে ভরপুর ম্যাচটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে নিরাপত্তা শঙ্কাও। তাই তো একগাদা নিয়ম ও শাস্তি ঠিক করেছে দুবাই কর্তৃপক্ষ।

চলতি আসরে এ নিয়ে তৃতীয়বার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান। আগের দুই দেখায় জিতেছে টুর্নামেন্টে এখনও অপরাজেয় ভারত। পাকিস্তানও ঘুরে দাঁড়িয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে, দিয়ে রেখেছে হুঙ্কার। ভারতের আধিপত্য থামিয়ে সালমান আগার দল তৃতীয় নাকি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সূর্যকুমার যাদবের দল অষ্টম শিরোপা জেতে সেটাই দেখতে আর অল্প সময়ের অপেক্ষা। আজ (রোববার) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই দলের মহারণী লড়াই শুরু হবে।

এই ম্যাচের জন্য কঠোর নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে দুবাই ইভেন্টস সিকিউরিটি কমিটি (ইএসসি) জানিয়েছে, স্টেডিয়ামে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে দুবাই পুলিশের একাধিক বিশেষায়িত ইউনিট। যাতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং যেকোনো নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আন্তর্জাতিক মানের ইভেন্ট আয়োজনে সুনাম রয়েছে। তা রক্ষার জন্য দর্শকদের দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি। 

শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে ইএসসি’র নির্দেশনা

স্টেডিয়ামে প্রবেশ : খেলা শুরুর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে স্টেডিয়ামে পৌঁছাতে হবে। যাতে নিরাপত্তা তল্লাশি ও প্রবেশ নির্বিঘ্ন হয়। প্রতিটি টিকিটে একবারই প্রবেশের অনুমতি থাকবে, একবার বেরিয়ে পুনরায় প্রবেশের সুযোগ নেই। স্টেডিয়ামের ভেতর নিরাপত্তা কর্মীদের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্ক করতে হবে। স্টেডিয়ামের পথে রাস্তার ধারে গাড়ি থামানো বা পার্ক করা নিষিদ্ধ।

নিষিদ্ধ সামগ্রী : আতশবাজি, ফ্লেয়ার, লেজার পয়েন্টার এবং যেকোনো দাহ্য বা ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ, ধারালো বস্তু-অস্ত্র ও বিষাক্ত দ্রব্য, রিমোট কন্ট্রোলড ডিভাইস, বড় ছাতা, ক্যামেরা রিগ, ট্রাইপড, সেলফি স্টিক বা অনুমোদনহীন পেশাদার ফটোগ্রাফি সরঞ্জাম নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। আয়োজকদের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যানার, প্রতিকী কিছু ও পতাকা নেওয়াও নিষিদ্ধ। ঢোকা যাবে না কাচের বোতল, পোষা প্রাণী, সাইকেল, স্কেটবোর্ড ও স্কুটার নিয়ে। জননিরাপত্তা বিপন্ন করে এমন আচরণ, উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বা ঘৃণা/বর্ণবিদ্বেষ ছড়ালে আটক করা হবে।

নিরাপত্তা লঙ্ঘনে কঠোর শাস্তি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়া সুবিধা ও ইভেন্ট নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা নিয়ম ভাঙলে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। অনুমতি ছাড়া মাঠে প্রবেশ বা নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে রাখলে ১-৩ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫,০০০ দিরহাম থেকে ৩০,০০০ দিরহাম (প্রায় ১০ লাখ টাকা) পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। সহিংসতা করা কিংবা কোনো বস্তু নিক্ষেপ বা বর্ণবাদী/অশালীন ভাষা ব্যবহার করলে জরিমানা ১০,০০০ দিরহাম থেকে ৩০,০০০ দিরহাম পর্যন্ত। এ ছাড়া প্রয়োজনে কারাদণ্ডের বিধানও রয়েছে।

এএইচএস