রিশাদ হোসেনের ম্যাজিকাল ফিগারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যদিও ২০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল সফরকারী ক্যারিবীয়দের। তবে সব ছাপিয়ে আলোচনায় মিরপুরের উইকেট। যা নিয়ে অসন্তুষ্টি জানিয়েছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। পরবর্তীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানায় এর চেয়েও বাজে উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা জানালেন ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা রিশাদ। 

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রিশাদ বলেন, ‘আসলে উইকেট ওদের জন্য যেমন ছিল, আমাদের জন্যও একই ছিল। এর চেয়েও কিন্তু বাজে উইকেট গায়ানাতে ছিল। আমরা কিন্তু ওখানে অ্যাডজাস্ট করে খেলেছি। আমার মনে হয় যে দুই টিমের জন্য সমান ছিল। বুঝতেই পারছেন যে, (কন্ডিশন উভয়ের জন্য) সমান থাকলে হয়তোবা কাভার করা যায়।’

টমি হেমিং দায়িত্বে আসায় ধারণা করা হচ্ছিল মিরপুরের চিরাচরিত স্পিন উইকেটের পরিবর্তন ঘটবে। অথচ কেবল কালো রং–টাই ঘাঢ় হয়েছে, আগের মতো করেই স্পিন বিষে ঘায়েল হতে হয়েছে ব্যাটারদের। অবশ্য বিষয়টি হাতে নেই উল্লেখ করে রিশাদ বলেন, ‘এটা (উইকেট) তো আমাদের হাতে নেই। আমাদেরকে যেভাবেই হোক, যেমন উইকেটই দেওয়া হোক না কেন খেলতে হবে। যেমনই হোক আমরা মানিয়ে নিয়ে খেলার চেষ্টা করি।’

বল হাতে দ্যুুতি ছড়ানোর আগে ব্যাটিংয়েও কার্যকরী ক্যামিও (১৩ বলে ২৬ রান) খেলেছেন রিশাদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি যেখানে ব্যাটিংয়ে নামি সেখানে আমার রোলটা হচ্ছে কীভাবে একটু বাড়তি রান করা যায়, দলের জন্য যেটা ভালো হয়। যে জায়গায় ১৮০ হয় সেখানে যদি ২১০–২১৫ হয়, আমাদের জন্য ভালো। আমার রোল এটা, আমি চেষ্টা করেছি, আলহামদুলিল্লাহ হয়েছে। আমি বুঝি আমার দলের জন্য কী দরকার। আমি একটু ভালো করলে দলের জন্য ভালো হবে।’

বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার দিনে বোলিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা ফিগার (৩৫/৬) পেয়েছেন রিশাদ। প্রতিটি বিভাগেই অবদান রাখতে পেরে খুশি ২৩ বছর বয়সী এই তারকা, ‘অবশ্যই এটা অনুপ্রেরণার বিষয়। একজন খেলোয়াড় হিসেবে তিন বিভাগেই অবদান রাখতে পারা ভালো বিষয়। আমি চেষ্টা করি যেকোনো একটি বিভাগে নিজের ছাপ রাখার এবং শতভাগেরও বেশি দেওয়ার।’

এসএইচ/এএইচএস