ফুটবল-হকি দলকে ৭১ লাখ টাকা পুরস্কার এনএসসির
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আজ সকালে নারী ফুটবল দল ও অ-১৮ নারী হকি দলকে একসঙ্গে আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেছে। নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় ৫০ লাখ আর অ-১৮ নারী এশিয়া কাপ প্রথম অংশগ্রহণ করেই ব্রোঞ্জ জেতায় নারী হকি দলকে ২১ লাখ টাকা প্রদান করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। নারী হকি দলের প্রত্যেকে ৯৫ হাজার আর ফুটবল দলের প্রত্যেকে ১ লাখ ৬১ হাজার টাকার করে পেয়েছেন।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার আর্থিক পুরস্কার পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে বলেন, ‘আমি প্রধান উপদেষ্টা, ক্রীড়া উপদেষ্টা মহোদয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে ধন্যবাদ জানাই। এই পুরস্কার আমাদের অস্ট্রেলিয়ায় ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত করবে। আমাদের দেশের হয়ে খেলে সাফল্য আনছি, সরকার আমাদের সম্মানিত করছে এতে আমরা খুশি।’
বিজ্ঞাপন
সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে ১ কোটি বোনাস ঘোষণা করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই অর্থ বুঝে পান সাবিনারা। এশিয়া কাপ নিশ্চিত করার পর আবার অর্ধ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন উপদেষ্টা। সেটা তিন মাস পর বুঝিয়ে দিলেন। বাফুফে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর দেড় কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করেছিল। এক বছর হয়ে গেলেও সেই অর্থ এখনো দেয়নি ফেডারেশন। এ নিয়ে আজ প্রশ্ন হলে অধিনায়ক আফিদা বলেন, ‘এখানে কিছু বলার নেই। আমরা ফেডারেশনকে বলেছি, তারা বলছে দিয়ে দেবে।’
বিজ্ঞাপন
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আজ নারী ও হকি দলের কন্টিনজেন্টের সবাইকে সমান অর্থ প্রদান করেছে। ফুটবলার, কোচিং স্টাফদের সমান অর্থ ম্যানেজার, ফেডারেশনের স্টাফরা পেয়েছেন। এ নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সাফল্যে সবারই অবদান রয়েছে। এজন্য আমরা সকলকে সমান অর্থই প্রদান করেছি। যাতে কেউ মন না খারাপ করে।’
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে মাঝে মধ্যে সাফল্য আসে। সেই সাফল্যে ক্রীড়াবিদরা মূল্যায়ন হন না। আবার অনেক সাফল্যে পুরস্কৃত করা হলেও টুর্নামেন্টের গুরুত্ব ও মান অনুযায়ী তারতম্য থেকে যায়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কিংবা মন্ত্রণালয়ের এই সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা নেই। এই বিষয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালকের বক্তব্য, ‘ক্রীড়াবিদদের সাফল্যে উৎসাহিত করার জন্য মাননীয় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা এই পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। আপনাদের নীতিমালা নিয়ে যে প্রস্তাব এটা আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব। একটা নীতিমালা থাকলে ভালো।’
সম্প্রতি মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। বিশেষ করে প্রায় অর্ধ যুগের বেশি সময় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফিরোজা করিম নেলীকে সাধারণ সম্পাদক করায় তীব্র প্রশ্নের মুখে এনএসসি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিবকে আজ সাংবাদিকদের জেরার মুখে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
এজেড/এফআই