কিংসকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে কুয়েতের ক্লাব
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূলপর্ব থেকে বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে এক ম্যাচ আগেই। গতকাল (শুক্রবার) রাতে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি কিংসের জন্য ছিল আনুষ্ঠানিকতার। তবে স্বাগতিক কুয়েত এসসির কাছে ছিল কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার উপলক্ষ্য।
কুয়েত এসসি শুক্রবার গ্রুপ ‘বি’-র ম্যাচে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। এই জয়ের ফলে সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয়েছে কুয়েতের ক্লাবটি। বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস তিন ম্যাচেই হেরে খালি হাতে দেশে ফিরছে।
বিজ্ঞাপন
তিনবারের এএফসি কাপ চ্যাম্পিয়ন কুয়েত এসসি ম্যাচে দুর্দান্ত সূচনা করে। খেলা শুরুর প্রথম মিনিটেই সামি আল সানেয়ার ডান দিক থেকে নিখুঁত ক্রসে ইউসুফ আল সুলাইমান হেড করে গোল করেন। এদিন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে অনেকদিন পর খেলিয়েছে বসুন্ধরা কিংস।
বিজ্ঞাপন
প্রথম গোলের পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে কুয়েত এসসি। ১৭ মিনিটে ফয়সাল আল হারবির দূরপাল্লার শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। তাহা খেনিসি ও মোহাম্মদ দাহামের সুযোগ পেলেও ফিনিশিংয়ে ঘাটতি ছিল।
ম্যাচের আধাঘণ্টা না যেতেই হুমুদ আল সানৌসি চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে আহমাদ আল ধাফিরি বদলি হিসেবে নামেন। তবে মাঝমাঠে ছন্দ ধরে রাখেন দাহাম এবং ৩৩ মিনিটে তার নেওয়া নিচু শটটি ঠেকিয়ে দেন বসুন্ধরার গোলরক্ষক জিকো। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে অবশেষে দ্বিতীয় গোল পায় কুয়েতের ক্লাব। দাহামের নিখুঁত ক্রসে তাহা খেনিসি চমৎকার এক ফ্লিক শটে বল পাঠান জালে, গোলরক্ষক জিকো ছিলেন নিরুপায়।
দ্বিতীয়ার্ধে বসুন্ধরা কিংস ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। ৬৪ মিনিটে রাকিব হোসেন সোহেল রানার ক্রসে হেড করেন, কিন্তু বল সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৮০ মিনিটে কিংসের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে ইমানুয়েল সেরা সুযোগটি মিস করেন। ব্রাজিলিয়ান ডরির পাঠানো নিখুঁত ক্রসে তিনি বলের সংস্পর্শে আসতে পারেননি। ফলে শেষ পর্যন্ত কুয়েত এসসি ২-০ গোলের ব্যবধানেই জয় নিশ্চিত করে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে।
এজেড/এএইচএস