কোচ হতে গেলে থাকতে হবে রসবোধ। জানতে হবে মাইক্রোসফ্‌ট অফিস। নতুন প্রধান কোচের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে জানানো হয়েছে, রশিদ খানদের কোচ হতে গেলে কী কী যোগ্যতা থাকতে হবে। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল ফেলেছে সেই বিজ্ঞপ্তি।

সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটে বেশ উন্নতি করেছে আফগানিস্তান। বিশেষ করে ছোট দলের তকমা ঝেড়ে বড় দলগুলোর সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করছে। আফগানদের এমন সাফল্যে অবদান আছে দলটির প্রধান কোচ জোনাথন ট্রটের। এবার আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছেন তিনি।

আফগানিস্তানের কোচ হিসেবে বেশ সফল ট্রট। তার অধীনে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের খুব কাছে ছিল তারা। আর ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলে আফগানিস্তান। তার অধীনে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে জিতেছে আফগানিস্তান। আফগানদের সফল এই কোচ এবার চাকরি ছাড়ছেন। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানবেন তিনি।

ট্রটের জায়গায় নতুন কোচ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আফগান বোর্ড। সেই বিজ্ঞপ্তি সামনে আসার পর শুরু হয়েছে সমালোচনা। কেউ বলছেন, কোচের রসবোধ বা মাইক্রোসফ্‌ট অফিসের কী কাজ? যেখানে প্রতি দলে তথ্য বিশ্লেষণের জন্য আলাদা লোক থাকে, সেখানে আফগানিস্তানের কোচকে কেন তা করতে হবে? এই ধরনের চাহিদা থাকলে কেউ কোচ হতে রাজি হবেন কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

কোচ হওয়ার জন্য আর যে যে যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, ভিডিও বিশ্লেষণ করে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখতে হবে। প্রতিটি বড় প্রতিযোগিতার পর তা বিশ্লেষণ করতে হবে। দলের স্পিন বোলিং কোচ যিনি হবেন, তাকে প্রতিপক্ষ দলের বোলারদের শক্তি ও দুর্বলতা খুঁজে বের করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড যা যা নির্দেশ দেবে, তা বিনা প্রশ্নে মেনে নিতে হবে।

এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পরপরই আফগানিস্তান বোর্ডের সমালোচনা করেছেন বর্তমান কোচ ট্রট বলছিলেনন, “সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো দলের প্রতি আমার কোনও অধিকার নেই। ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা যায় না। কোচ হিসেবে তো আমার কিছু বলার থাকে। সে সব শোনার কেউ নেই। তাহলে কীভাবে সাফল্য আসবে?” এই সব কারণেই হয়তো চুক্তি শেষ হওয়ার পর আর থাকবেন না ট্রট। বদলে কে আসবেন, সে দিকেই চোখ সবার।

এফআই