পাকিস্তানে পৌঁছাল জিম্বাবুয়ে
নিরাপত্তা শঙ্কার মাঝে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা সিরিজের সূচিতে পরিবর্তন
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফরে গিয়ে ২০০৯ সালে লাহোরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিল। হুবহু সেই পরিস্থিতি তৈরি না হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে লঙ্কান দলে। কারণ গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছে পাকিস্তান। এরই মাঝে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে দেশটিতে পৌঁছেছে সিকান্দার রাজার জিম্বাবুয়ে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশগুলোর ক্রিকেট বোর্ড খেলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে একমত পোষণ করেছে। তবে বদলে গেছে সিরিজের সূচি। ইতোমধ্যে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। রোমাঞ্চকর ম্যাচটিতে শাহিন আফ্রিদির দল জেতে ৬ রানের ব্যবধানে। আজ (বৃহস্পতিবার) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। তবে সেটি একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
একদিন করে পিছিয়ে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার শেষ দুটি ওয়ানডে হবে যথাক্রমে ১৪ ও ১৬ নভেম্বর। এ ছাড়া দুই দেশের সঙ্গে জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর কথা ছিল ১৭ নভেম্বর থেকে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ পেছানোয় এরপর একদিন ফাঁকা রাখতে আসন্ন ত্রিদেশীয় লড়াই ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। তবে ফাইনাল হবে যথারীতি ২৯ নভেম্বর। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই সিরিজ ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে মনে করছে তিন দেশ।
— Mohsin Naqvi (@MohsinnaqviC42) November 12, 2025
দুটি সিরিজের পরিবর্তিত সূচি এবং শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের খেলা চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা দলের পাকিস্তান সফর চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। স্পোর্টসম্যানশিপ ও পারস্পরিক সংহতির জয় হয়েছে। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা শেষ দুটি ওয়ানডে ম্যাচ হবে ১৪ ও ১৬ নভেম্বর, রাওয়ালপিন্ডিতে।’
বিজ্ঞাপন
এর আগে নিরাপত্তা শঙ্কায় কয়েকজন লঙ্কান ক্রিকেটার সিরিজের মাঝপথেই পাকিস্তান ছাড়তে চাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। পরে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি), আয়োজক পিসিবি ও দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে সূচি অনুযায়ী সফর সম্পন্ন করতে চায় জানিয়ে বিবৃতি দেয় এসএলসি। তারা জানায়, ‘তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বসে, সকল উদ্বেগের বিষয়টি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করা হয়েছে। এখানে সফররত প্রত্যেক ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।’
চলমান সফর নির্ধারিত সূচিতে চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশে ফিরতে চাওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে বিকল্প ভাবনাও জানিয়েছে এসএলসি, ‘সকল ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও টিম ম্যানেজমেন্টকে সূচি অনুসারে সফর সম্পন্ন করার আহবান জানাচ্ছে এসএলসি। এরপর কোনো খেলোয়াড় কিংবা সাপোর্ট স্টাফের সদস্য যদি দেশে ফিরতে চায়, পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনা এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আবার কেউ সফর রেখে দেশে ফিরলে তাৎক্ষণিকভাবে তার রিপ্লেসমেন্ট পাঠিয়ে বিঘ্ন ছাড়াই সিরিজ সম্পন্ন করা হবে।’
এএইচএস