হুট করেই পিসিবি নির্বাচকের পদ ছাড়লেন আজহার
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) যেকোনো পদে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন কিংবা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তা হস্তান্তরের ঘটনা দুর্লভ। ব্যতিক্রম ঘটেনি দেশটির সাবেক অধিনায়ক আজহার আলির ক্ষেত্রেও। অনেকটা হুট করেই তিনি পিসিবির নির্বাচক এবং যুব উন্নয়ন বিভাগের প্রধান পদের দায়িত্ব ছেড়েছেন। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে আজহারের পদত্যাগের কথা নিশ্চিত করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
ক্রীড়াভিত্তিক এই ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ মাসের মাথায় পিসিবি থেকে পদত্যাগ করলেন আজহার আলি। তার সঙ্গে সম্প্রতি দায়িত্বের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে কিছুটা অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন চলছিল ক্রিকেট বোর্ডের। মূলত ঝামেলাটা বাধে আরেক সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে দায়িত্বে আনার গুঞ্জন থেকে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও, তিনি পাকিস্তান শাহীনস এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান পদে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন। একইভাবে ট্রেনিং ক্যাম্পের দেখভাল, বিভিন্ন ট্যুর ও আয়োজনের দায়িত্বও নিতে পারেন সরফরাজ।
বিজ্ঞাপন
সরফরাজকে কেন্দ্র করে পিসিবি কিংবা পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ফ্র্যাঞ্চাইজির কার্যক্রম রহস্যজনক। কারণ তিনি এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেননি। অথচ তাকে বিভিন্ন দলের পরামর্শক ও কোচের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে বছরখানেক আগে থেকেই। এবার পিসিবির দায়িত্বে তাকে নিয়োগের চলমান আলোচনা আজহারকে স্বস্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। ক্রিকইনফোর মতে– এই সপ্তাহের শুরুতে আজহারের পাঠানো পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে পিসিবি।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টেস্ট দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন আজহার আলি। ২০২৪ সালের অক্টোবরে পাকিস্তান পুরুষ ক্রিকেটের নির্বাচক প্যানেলে প্রথম দায়িত্ব পান তিনি। এক মাস পর তাকে ইয়ুথ ডেভলপমেন্ট বিভাগের প্রধান করা হয়। আজহারকে নিয়োগের কথা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েই জানিয়েছিল পিসিবি। ওই সময় বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গঠন ও যুব ক্রিকেটের উচ্চতর কৌশল, তৃণমূল ক্রিকেট কাঠামো ও প্রতিভা খুঁজে পাওয়ার উদ্যোগ, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন অঞ্চল ও ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সমন্বয়, পিসিবির নানা প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইমার্জিং ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ, সেমিনার-সচেতনতা তৈরিসহ যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজ করবেন তিনি।
এই মুহূর্তে পাকিস্তানের বয়সভিত্তিক দলের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ২০২৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, যা ১৫ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে। ওই প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে, স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে গ্রুপপর্বে লড়বে পাকিস্তান। এর আগে তারা ২০০৪ এবং ২০০৬ সালে দু’বার যুব বিশ্বকাপ জিতেছিল।
এএইচএস