চরম নাটকীয়তার সেমিফাইনাল গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে ভারতকে হারিয়ে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টের এক সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছে।

সুপার ওভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কেন বৈভব সূর্যবংশীকে নামানো হয়নি এমন প্রশ্ন দেশটির সমর্থক থেকে শুরু করে অনেকেরই। ম্যাচ শেষে অবশ্য অদ্ভুত যুক্তি দিয়েছেন অধিনায়ক জিতেশ। জানিয়েছেন, বৈভব পাওয়ার প্লের ক্রিকেটার বলে তাকে সুপার ওভারে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

জিতেশ বলেন, “ওরা (বৈভব এবং প্রিয়াংশ আর্য) পাওয়ার প্লেতে খেলার ব্যাপারে দক্ষ। কিন্তু ডেথ ওভারে (শেষের দিকের ওভার) আমি, আশু (আশুতোষ শর্মা) এবং রমন (রমনদীপ সিংহ) চালিয়ে খেলতে পারি। তাই সুপার ওভারে তিন ব্যাটারকে নামানোর সিদ্ধান্ত দলের এবং আমার ছিল।”

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ার প্লের অর্থ প্রথম ছয় ওভার, যে সময়ে ৩০ গজের বাইরে মাত্র দু’জন ফিল্ডার রাখা যায়। অর্থাৎ বড় শট খেলা সহজ হয়। বৈভব শুরু থেকে চালিয়ে খেলে পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে ঠিকই। তবে অন্য সময়েও বেশ দক্ষ। এ ছাড়া চলতি প্রতিযোগিতাতেও ভালো ফর্মে ছিলেন বৈভব। 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বৈভব ৪২ বলে ১৪৪ রান করেছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ৪৫ রান করে। ওমানের সঙ্গে অবশ্য খুব বেশি রান করতে পারেননি। ১২ রান করেছিলেন। সর্বশেষ গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৩৮ রান করেন। আইপিএলেও তার শতরান রয়েছে। 

তারপরেও তাকে কেন সুপার ওভারে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যে ডেথ ওভার ব্যাটারদের ওপর শুক্রবার জিতেশ নির্ভর করেছিলেন, তারা একটিও রান করতে পারেননি। প্রথম বলেই স্কুপ মারতে গিয়ে বোল্ড হন জিতেশ নিজে। পরের বল আকাশে তুলে দিয়ে আউট হন আশুতোষ। সুপার ওভারের জন্য রাখা তিন ব্যাটারের কেউই এদিন মূল ম্যাচে দলের হয়ে খুব বেশিঅবদান রাখতে পারেননি। অন্য দিকে, দুই ওপেনার প্রিয়াংশ এবং বৈভব রান পেয়েছিলেন।

যদিও এই হার মাথায় রাখতে চাইছেন না জিতেশ। বলেছেন, “ভালো একটা ক্রিকেট ম্যাচ হলো। অনেক শিক্ষা পেলাম। সব দোষ আমার। সিনিয়র হিসাবে আমারই ম্যাচটা শেষ করে আসা উচিত ছিল। হার নয়, শিক্ষা নিয়ে ফিরতে চাই আমরা। এই দলে যারা আছে তারা হয়তো এক দিন বিশ্বকাপও জিততে পারে।”

এফআই