হয়তো অন্য সাধারণ একটি ম্যাচ হার হিসেবে দেখা যেত, কিন্তু পার্থে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের জন্য ইংল্যান্ডকে রীতিমতো কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। নানা বিশেষণে ডাকা হচ্ছে বেন স্টোকসের দলকে। ঐতিহাসিক অ্যাশেজ সিরিজ বলে কথা, যাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সরকার প্রধানের মাঝেও বাদানুবাদে জড়ানোর নজির রয়েছে। প্রথম টেস্টের হারের জন্য চলমান নানা সমালোচনার জবাবে এবার মুখ খুললেন ইংলিশ অধিনায়ক স্টোকস।

১০৪ বছরে প্রথমবার রোমাঞ্চকর অ্যাশেজ সিরিজের কোনো টেস্ট মাত্র দু’দিনেই শেষ হয়েছে। পার্থে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ট্রাভিস হেডের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর থেকে সমালোচনায় জর্জরিত হচ্ছেন স্টোকস-রুট-আর্চাররা। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান তারকা মিচেল জনসন তো ইংলিশ ক্রিকেটারদের ‘উগ্র ও অহংকারী’ উল্লেখ করে মারাত্মক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ার ঝুঁকি আছে বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এমন সমালোচনা মানতে পারেননি স্টোকস, ‘আমাদের রাবিশ বা যা খুশি বলতে পারেন। আমরা যেমনটা চেয়েছিলাম, সেভাবে খেলতে পারিনি।’

বিবিসি স্পোর্টসের কাছে ইংলিশ দলনেতা বলেন, ‘অহংকারী উল্লেখ করা সম্ভবত কিছুটা বাড়িয়ে বলা হচ্ছে। তবে মেনে নিচ্ছি। আমরা সহজ এবং কঠিন পরিস্থিতি গ্রহণ করছি। আমাদের “রাবিশ” বলাটাকে মানতে পারি, কিন্তু “অহংকারী” কি না সেটি নিশ্চিত করা বলা যাচ্ছে না। আমরা দল এবং ব্যক্তিগতভাবে এখান থেকে শিখেছি, এটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দলগতভাবে নিজেদের দুর্বল বিষয়গুলো চিহ্নিত করেছি। আমরা নিশ্চিতভাবে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও ভালো কিছু করতে পারতাম।’

পার্থ টেস্টে হেরে ৫ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে ইংল্যান্ড। ৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় টেস্ট, সে উপলক্ষ্যে ব্রিসবেনে প্রস্তুতির জন্য বড় সময় পাচ্ছে উভয় দল। এরই মাঝে দুই দেশের প্রাইম মিনিস্টার একাদশ একটি টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে ইংল্যান্ডের মূল স্কোয়াডে থাকা জ্যাকব বেথেল, জশ টাং ও ম্যাথু পটস অংশ নিয়েছেন। এর আগে ২০২২ সালে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কোচ এবং স্টোকস অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর ১৭ বার মুখোমুখি হয়ে অস্ট্রেলিয়াকে কেবল একবার হারাতে পেরেছে ইংলিশরা।

এবারও অনেক টাকা খরচ করে যাওয়া স্বদেশি দর্শকদের সামনে হার দিয়ে শুরুর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন স্টোকস। একইসঙ্গে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতও দিয়েছেন এই ইংল্যান্ড তারকা অলরাউন্ডার, ‘প্রথম ম্যাচের পরাজয়ে ভক্তরা অনেক হতাশ হয়েছেন জানি। তবে এটি পাঁচ ম্যাচের সিরিজ, আমাদের সামনে আরও চার ম্যাচ বাকি। আমরা প্রথমটিতে হেরেছি, অবশ্য সিরিজ শুরুর আগে এই অ্যাশেজে আমরা কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেতে মরিয়া ছিলাম। আমাদের সামর্থ্যের পুরোটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। লক্ষ্য পূরণে আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

এএইচএস