পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৫১ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। প্রথম ৫ ওভারে করে তারা ৫০ রান। এরপর বাংলাদেশের বোলারদের দাপট। ৭৩ রানে সফরকারীদের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছে তারা। 

পাওয়ার প্লে শেষ হতেই বাংলাদেশ তৃতীয় আঘাত হানে। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে লরকান টাকারকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউয়ে সফল হয় বাংলাদেশ। ওই ওভারে মাত্র ৪ রান দেন স্বাগতিক স্পিনার।

রিশাদ হোসেন বল হাতে নিয়ে মাত্র ২ রান দেন পরের ওভারে। মেহেদীর তৃতীয় ওভারে ৫ রান তোলে আইরিশরা। ইনিংসের দশম ওভারে রিশাদ বোল্ড করেন ক্যাম্ফারকে (৯)। তাতে ১০ ওভারে ৬৬ রানে চার উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।

একপ্রান্ত আগলে রেখে আয়ারল্যান্ডের হাল ধরা পল স্টার্লিং চল্লিশ ছুঁতে পারেননি। ১২তম ওভারে চার মারার পরের বলে রিশাদ তাকে সাইফ হাসানের ক্যাচ বানান। আইরিশ ওপেনার ২৭ বলে করেন ৩৮ রান। ৭৩ রানে ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

এর আগে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে হতশ্রী বোলিং ছিল বাংলাদেশের। আয়ারল্যান্ডকে প্রথম ওভারে ১৩ রান দেন মেহেদী হাসান। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে শরিফুল ইসলামের শিকার হওয়ার আগে টিম টেক্টর (১৭) দুই চার ও এক ছয়ে ১৪ রান তোলেন।

পঞ্চম ওভারের শেষ বলে হ্যারি টেক্টর সিঙ্গেল নিলে আয়ারল্যান্ড পঞ্চাশে পৌঁছায়। ওই ওভারে ১২ রান তোলে সফরকারীরা। বল হাতে নিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান দ্বিতীয় ডেলিভারিতে উইকেট পান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে হ্যারি (৫) অদ্ভুত দৃশ্যের অবতারণা করে আউট হন।

হ্যারি সামনের পায়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট চালান। বল ব্যাটে লেগে তা স্টাম্পের দিকে ছোটে। আইরিশ ব্যাটার বিপদ টের পেয়ে তাড়াতাড়ি পা দিয়ে বলটা সরাতে গিয়েও পারেননি। বল স্টাম্পে আঘাত করে।

মুস্তাফিজ ওই ওভারে মাত্র এক রান দেন। তাতে পাওয়ার প্লে শেষে আয়ারল্যান্ড করেছে ২ উইকেটে ৫১ রান।

বাংলাদেশ একাদশ: পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।

আয়ারল্যান্ড একাদশ: পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), টিম টেক্টর, হ্যারি টেক্টর, লোরকান টাকার (উইকেটকিপার), কুর্টিস ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল, গ্যারেথ ডিলানি, মার্ক অ্যাডায়ার, ম্যাথু হামফ্রেস, ক্রেইগ ইয়াং, বেন হোয়াইট।

এফএইচএম/