অবৈধ বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সাকিব, ‘কিছুটা ইচ্ছাকৃত ছিল’
গত বছর নভেম্বরে সারের হয়ে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে একমাত্র ম্যাচ খেলতে গিয়ে নিষিদ্ধ হন সাকিব আল হাসান। কারণ ছিল সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন। গতকাল (রোববার) ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্টে বাঁহাতি অলরাউন্ডার জানালেন, তার ওই অবৈধ বোলিং অ্যাকশন ‘কিছুটা ইচ্ছাকৃত’ ছিল।
গত বছর ডিসেম্বরে লাফবোরো ইউনিভার্সিটিতে স্বতন্ত্র পরীক্ষায় সাকিবের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি পাওয়ার পর সব ধরনের প্রতিযোগিতায় তাকে বল করতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইসিবি। আইসিসির নিয়ম অনুযাযী, তার এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও কার্যকর ছিল।
বিজ্ঞাপন
সাকিব এনিয়ে বললেন, ‘আমার মনে হয় আমি কিছুটা ইচ্ছাকৃতভাবে সেটা করেছি কারণ আমি ৭০ ওভারের (এক ম্যাচে) বেশি বল করেছিলাম। আমার টেস্ট ক্যারিয়ারে কখনো ৭০ ওভার বল করিনি। টন্টনে সমারসেটের বিপক্ষে সারের হয়ে চার দিনের ম্যাচ খেলছিলাম। আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম।’
পাকিস্তানে সিরিজ খেলে ক্লান্তি ভর করেছিল সাকিবের ওপর, ‘পাকিস্তানি আমি টানা দুটি টেস্ট খেললাম, ওই সিরিজ জিতে আমি চার দিনের ম্যাচ খেলতে গেলাম। আমি শুধু ভাবছিলাম আম্পায়ার অন্তত প্রথমবার আমাকে সতর্ক করবে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী তার অধিকার আছে, আমি অভিযোগ করিনি।’
বিজ্ঞাপন
সাকিব আরও বলেন, “আমি পরীক্ষা দিতে গিয়ে অকৃতকার্য হলাম। তারপর আমিও আমার পরীক্ষা দেখলাম। আমি ছিলাম এমন, ‘আচ্ছা, তাহলে এরকম হচ্ছে।’ তারপর দুয়েক সপ্তাহ আমাকে অনুশীলন করতে হলো, যেন আমি সারেতে ফিরতে পারি। তারাও আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। দুটি সেশন করেই আমি স্বাভাাবিক হলাম। তখন মনেন হলো, ‘এটা এত সহজ!’”
গত মৌসুমে সারের হয়ে সাকিব এক ম্যাচ খেলে ৬৩.২ ওভার বল করেছেন, দুই ইনিংসে ৩৩.৫ ও ২৯.৩ ওভার। তারপর এই বছরের শুরুতে তৃতীয়বার বোলিং মূল্যায়ন শেষে বোলিংয়ের অনুমতি পান। এর মধ্যে চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হতে না পারায় বিসিবি নির্বাচকরা তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রাখেননি। যদিও বোর্ড জানিয়েছিল, ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে ব্যাটার হিসেবে তাকে খেলানো হবে।
এফএইচএম/